অযোধ্যা নিয়ে কোর্টে ধর্মদাস

আদালতের বাইরে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানির জন্য দিল্লি আসছেন হিন্দু পক্ষের অন্যতম মামলাকারী মহন্ত ধর্মদাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৩:২৬
Share:

আদালতের বাইরে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানির জন্য দিল্লি আসছেন হিন্দু পক্ষের অন্যতম মামলাকারী মহন্ত ধর্মদাস।

Advertisement

রাম জন্মভূমি মামলা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার আর্জি নিয়ে গত সপ্তাহেই বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তখনই প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর মন্তব্য করেন, অযোধ্যার এই বিতর্ক একটি ‘ভাবাবেগের বিষয়’, এর মীমাংসা ‘শান্তিপূর্ণ’ আলোচনার মাধ্যমেই হওয়া উচিত। বিবদমান দু’পক্ষ নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাতে আগ্রহী হলে তিনি নিজেও মধ্যস্থতা করতে পারেন বলে জানান প্রধান বিচারপতি।

আরও পড়ুন: জঙ্গিদের নিশানায় ছিল মোদীর সভাও

Advertisement

এর পর উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আগিত্যনাথও ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনিও প্রায় ২৫ বছর ধরে ঝুলে থাকা রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মেটানোর পক্ষে। মহন্ত ধর্মদাসের দাবি, আদিত্যনাথ মুসলিম পক্ষের মামলাকারী হাজি মেহবুব ও তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। হাজি মেহবুবও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির আহ্বায়ক জাফরিয়াব জিলানির মতো অনেকেই অবশ্য মনে করছেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আর কিছু হওয়ার নয়। রাম জন্মভূমি ন্যাস ট্রাস্টের প্রধান মহন্ত নৃত্যগোপাল দাসও যুক্তি দিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনও সমঝোতা হতে পারে না।

মহন্ত ধর্মদাস অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন, তিনি এবং হাজি মেহবুবই প্রধান মামলাকারী। প্রধান বিচারপতি তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইলে তিনি তাঁর বাড়িতে গিয়ে আলোচনা করবেন। এরই মধ্যে লখনউয়ের বিভিন্ন এলাকায় ‘শ্রী রাম মন্দির নির্মাণ মুসলিম করসেবক মঞ্চ’-র নামে হোর্ডিং টাঙিয়ে দাবি করা হয়েছে, মুসলমানরাও মন্দিরের পক্ষে। যিনি হোর্ডিং টাঙিয়েছেন, সেই আজম খান পুলিশের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে বলেছেন, তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন