Delhi High Court rejects Mahua Moitra's plea

বাংলো খালি করার নোটিস: মহুয়ার চ্যালেঞ্জ খারিজ, বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদকে কী বলল দিল্লি হাই কোর্ট?

লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বাংলো খালি করার নোটিস দিয়েছিল কেন্দ্রের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)। বৃহস্পতিবার সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন মহুয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:০৪
Share:

মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।

দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করার নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে আবেদন করেছিলেন মহুয়া মৈত্র, তা খারিজ হয়ে গেল দিল্লি হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, সরকারি বাংলোয় থাকার অধিকার হারিয়েছেন মহুয়া!

Advertisement

লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বাংলো খালি করার নোটিস দিয়েছিল কেন্দ্রের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)। বৃহস্পতিবার সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন মহুয়া। সেই মামলায় আদালতের বক্তব্য, মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার ফলে তিনি আর ওই বাংলোয় থাকতে পারেন না।

কারণ দর্শানোর নোটিস (শো-কজ়) পাঠানোর পরেও সরকারি বাংলো খালি করেননি মহুয়া। গত মঙ্গলবার তাঁকে পত্রপাঠ বাংলো খালি করতে বলে কেন্দ্রের ডিওই। মঙ্গলবার ডিওই-এর তরফ থেকে এ কথা মহুয়াকে জানানো হয়। নোটিসে লেখা হয়, বাংলো খালি করতে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের রাস্তাতেও হাঁটা হতে পারে তারা। ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়। ৭ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মহুয়া তা করেননি। গত ৮ জানুয়ারি, কেন এখনও বাংলো খালি করেননি, তিন দিনের মধ্যে তা জানাতে বলে মহুয়াকে নোটিস পাঠায় ডিওই। আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ। দিল্লি হাই কোর্ট জানায়, ডিওই-র কাছে মহুয়াকে আবেদন করতে হবে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার আবার নোটিস যায় মহুয়ার কাছে। এর পরেই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া।

Advertisement

মহুয়া চেয়েছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর তিনি দিল্লির বাংলো খালি করবেন। এ নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। মহুয়ার আইনজীবী জানিয়েছিলেন, যদি তাঁর মক্কেলকে সংশ্লিষ্ট সময়ের জন্য বাংলোয় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে বর্ধিত সময়ের জন্য প্রযোজ্য যে কোনও খরচ দিতেও তিনি প্রস্তুত। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ জানিয়েছিলেন, সরকারি আবাসনে থাকার জন্য আবেদন ডিওই-র কাছেই করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে আইন মেনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত কিছু করবে না। এর পরে মহুয়ার আইনজীবী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। আর তার পরেই পত্রপাঠ বাংলো খালি করে দেওয়ার নোটিস ধরানো হয়েছিল বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন