নির্মীয়মাণ গির্জায় ভাঙচুরের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত রবিবার হিসারের কাইমরি গ্রামে একটি গির্জায় ঢুকে তাণ্ডব চালায় কিছু দুষ্কৃতী। অভিযোগ, গির্জার ক্রুশ ভেঙে ভিতরে হনুমান মূর্তি বসিয়ে রেখে যায় তারা। মঙ্গলবার এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তার পরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও। পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাটে কনভেন্ট স্কুলে ডাকাতি ও বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ এবং হিসারে গির্জায় আক্রমণ এই দু’টি ঘটনা নিয়েই রাজ্যগুলির কাছে এ দিন রিপোর্ট তলব করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ জানানোর দিনই হিসারে মূল অভিযুক্ত ধরা পড়লেও পশ্চিমবঙ্গে ছবিটা কিন্তু একেবারেই উল্টো। ঘটনার পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও রানাঘাটের ঘটনায় এক জনকেও ধরতে পারেনি পুলিশ।
হিসারের এসপি সৌরভ সিংহ এ দিন জানান, প্রধান অভিযুক্ত অনিল গোডারাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আজ ধরা হয়েছে আরও চার জনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত অনিল ওই গ্রামে রীতিমতো পরিচিত মুখ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
রবিবার হিসারের ওই গির্জায় ভাঙচুরের পাশাপাশি কুলার ও আরও কিছু দামি জিনিস লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। গির্জার ফাদার সুভাস চন্দ এই ঘটনায় ১৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন থানায়। ওই এলাকায় গির্জা তৈরির জন্য গত মাস থেকেই তাঁকে কয়েক জন হুমকি দিচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন ফাদার।
হিসারের ঘটনা নিয়ে দেশে তোলপাড় শুরু হলে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টার গত কাল বিধানসভায় দাবি করেন, ওই গির্জার এলাকা নিয়ে কিছু গণ্ডগোল আছে। এ-ও বলেন, দুই দলের বচসার ফলে এমন কাণ্ড।
বিজেপি নেতা খট্টারের এ হেন মন্তব্যের পর দিনই বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে টুইট করা হয়, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।”