National News

সিবিআই প্রধানকে সরানোর সব তথ্য মানুষকে জানান, মোদীকে চিঠি খড়্গের

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে খড়্গে লিখেছেন, ‘‘সরকারের এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত বিচারব্যবস্থাকেও অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রমাণগুলি প্রকাশ্যে এলে মানুষ সে সব বুঝতে পারবেন। নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:৫৫
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে।-ফাইল ছবি।

যে সব তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ব্যুরো (সিবিআই)-র প্রধান অলোক বর্মাকে বরখাস্ত করেছিল মোদী সরকার তা প্রকাশ্যে আনার দাবি জানালেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি চিঠি লিখে ওই দাবি জানিয়েছেন খড়্গে। লিখেছেন, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি) কী বলেছিল, কী বলা হয়েছিল বিচারপতি পট্টনায়কের বর্মা-সংক্রান্ত রিপোর্টে তা মানুষকে জানানো হোক। বর্মা-অপসারণের জন্য গত ১০ জানুয়ারি যে বৈঠক হয়েছিল নির্বাচক কমিটির, তার কার্যবিবরণীও (মিনিট্‌স) সবাইকে জানানো হোক। সিবিআইয়ের নতুন প্রধান বেছে নেওয়ার জন্য ডাকা হোক নির্বাচক কমিটির বৈঠক।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে খড়্গে লিখেছেন, ‘‘সরকারের এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত বিচারব্যবস্থাকেও অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রমাণগুলি প্রকাশ্যে এলে মানুষ সে সব বুঝতে পারবেন। নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।’’

তিন সদস্যের যে নির্বাচক কমিটি বর্মাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তাতে বিরোধীদের একমাত্র প্রতিনিধি খড়্গে। বাকি দুই সদস্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিচারপতি এ কে সিক্রি।

Advertisement

আগেই খড়্গে জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে তাঁকে গোড়া থেকেই অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, গত ১০ জানুয়ারি ওই নির্বাচক কমিটির যে বৈঠকে বর্মা-অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তাতে ডাকাই হয়নি খড়্গেকে।

আরও পড়ুন- ‘বর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই,’ বললেন তদন্তে নজর রাখা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি​

আরও পড়ুন- সিবিআই প্রধানের ‘অপসারণ’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস​

খড়্গে অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘‘কমিটির সদস্যদের আমি বরাবরই আইনের পথে চলতে বলেছি।বিচারব্যবস্থা কী বলে, তার জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি। কিন্তু তার পরেও বর্মার বিরুদ্ধে একটি রিপোর্টের (সিভিসি) ভিত্তিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিচারপতি পট্টনায়ক পরে যে রিপোর্ট খারিজ করে দেন।’’

খড়্গের বক্তব্য, মোট ১০টি অভিযোগ ছিল বর্মার বিরুদ্ধে। যার মধ্যে ৬টির ক্ষেত্রেই ছিল পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাব। বাকি ৪টি অভিযোগের ক্ষেত্রে হয় আরও তদন্তের প্রয়োজন ছিল, না হলে তার কোনওটিতে তথ্যপ্রমাণ ছিল খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে।

প্রধানমন্ত্রীকে খড়্গে লিখেছেন, ‘‘সব সংবাদমাধ্যমেই বেরিয়েছিল, বিচারপতি পট্টনায়ক বলেছেন, বর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই। সিভিসির বক্তব্যই চূড়ান্ত হতে পারে না। কিন্তু তার পরেও বিচারব্যবস্থাকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।’’

খড়্গে লিখেছেন, বিচারব্যবস্থাকে সেই চরম অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হত না যদি নির্বাচক কমিটি নিরপেক্ষ ভাবে সিভিসির রিপোর্টের পাশাপাশি বিচারপতি পট্টনায়কের রিপোর্ট, বর্মার সাক্ষ্যও খতিয়ে দেখত, খুঁটিয়ে পড়ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন