অতিথি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। হায়দরাবাদ হাউসে মধ্যাহ্নভোজের তালিকায় তাই বাঙালি ছোঁয়া। বাঙালি রসনার কথা মাথায় রেখে ছিল গন্ধরাজ লেবু দিয়ে ভেটকির পদ, মুরগির মাংস। নিরামিষাশী প্রধানমন্ত্রীর জন্য ছিল লুচি, বেগুনভাজা, পটলভাজা।
খেতে খেতেই চলল আলাপচারিতা, হাসিঠাট্টা। মোদী আর বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বললেন, ‘‘দিদি তুমি এত রোগা হলে কী করে?’’ মমতা জানতে চাইলেন, ‘‘সুষমাজির শরীর এখন কেমন?’’ জবাবে বিদেশমন্ত্রী বললেন, ‘‘এখন একদম ঠিক আছি।’’
সন্ধে সাড়ে সাতটায় রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজ। মুড়ি, চানাচুর, মিষ্টি খেলেন মমতা। বললেন, ‘‘এত তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খাই না।’’ নৈশভোজের ফাঁকে হাসিনা মমতাকে বললেন, ‘‘সকালে আমাকে আপনি বলছিলে। তুমি আবার আমাকে আপনি বলতে শুরু করলে কবে?’’ মমতা বললেন, ‘‘ভাবছিলাম সকলের সামনে তুমি বলব!’’