বিজেপি-বিরোধী জোটের লক্ষ্যে দিল্লির পর এ বার রাজ্যওয়াড়ি সফরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১০ এপ্রিল চেন্নাই যাচ্ছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, সেখানে তিনি ডিএমকে নেতা করুণানিধির সঙ্গে দেখা করবেন। আলোচনার সময়ে থাকবেন তাঁর পুত্র স্ট্যালিন এবং কন্যা কানিমোজিও।
গত বছর করুণানিধির জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে দলের এক সাংসদকে চেন্নাই পাঠিয়েছিলেন মমতা। এ বার সেই দৌত্যকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিজে গিয়ে প্রবীণ এই নেতার সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধিতার কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন নেত্রী। তাঁর প্রস্তাবিত ‘একের বিরুদ্ধে এক’ লড়াইয়ের সূত্রটি নিয়ে বিস্তারিত কথা হবে ডিএমকে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। এক রাত চেন্নাইয়ে থাকার কথা তাঁর। কানিমোজি জানিয়েছেন, ‘‘আমরা অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে মমতার সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।’’ গত মঙ্গলবার তৃণমূলের দফতরে করুণানিধি কন্যার সঙ্গে একান্তে অনেক ক্ষণ কথা বলেন মমতা। পরে জানান, ‘‘আশা করছি তামিলনাড়ুতে খুবই ভাল ফল করবে ডিএমকে।’’
শুধু তামিলনাড়ু নয়, উত্তরপ্রদেশে সপা-বিএসপি জোটের সম্ভাবনা নিয়েও উচ্ছ্বসিত হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। বার বার বলেছেন, এই দুই শক্তি পরস্পরের হাত ধরলে কারও ক্ষমতা নেই তাকে রোখে। কিছুটা লঘু স্বরে বলেছেন, ‘‘ওঁরা যদি বৈঠক করেন তা হলে আমরা চা খেতে যাব সেখানে।’’ তৃণমূল সূত্র জানাচ্ছে, দাক্ষিণাত্য থেকে ফিরে লখনউয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মমতার।
এ বার দিল্লি এসে বিভিন্ন রাজ্যের অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। দিল্লির অরবিন্দ কেজরীবাল, তেলঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও, অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং উত্তরপ্রদেশের অখিলেশ যাদবের সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা। আগামী মাসের গোড়াতেই দিল্লি আসছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। বিজেপি-বিরোধী জোট তৈরি করার লক্ষ্যে তিনিও কথা বলবেন আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে। এই নিয়ে মমতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁর।