National News

কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করার অনুমতিই পেলেন না মমতা

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেষ মুহূর্তে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই আঁচ করা গিয়েছিল, তিনি দিল্লি গিয়ে কেজরিবালের ধর্নাস্থলে যাবেন। কিন্তু দিল্লি পৌঁছে হতাশই হতে হল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাই করতে পারলেন না তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ২১:১৪
Share:

নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে নয়াদিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী। —পিটিআই

কেজরীবালদের অবস্থান-ধর্নাকে সমর্থন জানিয়ে বুধবারই টুইট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেষ মুহূর্তে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই আঁচ করা গিয়েছিল, তিনি দিল্লি গিয়ে কেজরিবালের ধর্নাস্থলে যাবেন। কিন্তু দিল্লি পৌঁছে হতাশই হতে হল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাই করতে পারলেন না তিনি। কারণ অনুমতি দিলেন না দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। তবে পরে কেজরীবালের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কর্নাটকের এইচডি কুমারস্বামী এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

Advertisement

আইএএস অফিসারদের ‘ধর্মঘট’-ইস্যুতে লেফ্টেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে সংঘাতের জেরে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বৈজলের বাসভবনের ধর্নায় বসেছেন কেজরীবাল এবং তাঁর সরকারের তিন মন্ত্রী। শনিবার ছিল সেই আন্দোলনের ষষ্ঠ দিন। রবিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক। বৈঠকে যোগ দিতে এ দিনই দিল্লি পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজধানীতে পৌঁছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে দেখতে যান মমতা। তোড়জোড় শুরু করেন কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করার। দেখা করার অনুমতি চেয়ে চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সই করা একটি চিঠি পাঠানো হয় লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে। কিন্তু সেই চিঠির উত্তরে লিখিত জবাব না দিয়ে রাজ নিবাসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অনুমতি দেওয়া যাবে না।

অনুমতি না পেয়ে এরপর চার মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালের বাসভবনে গিয়ে তাঁর স্ত্রী সুনীতা কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপের দাবিও করেন চার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনাও করেন চার মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

অকংগ্রেস-অবিজেপি ফেডেরাল ফ্রন্ট গঠনের পক্ষে প্রথম থেকেই মমতার সঙ্গী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। যে কোনও ইস্যুতে রাজনৈতিক অবস্থান থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আপ এবং তৃণমূল সুপ্রিমো বরাবরই প্রায় এক সুরে কথা বলেন। সেই সূত্রে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা যত বারই দিল্লিতে গিয়েছেন, দুই মুখ্যমন্ত্রীর দেখা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে তৃতীয় ফ্রন্ট-সহ একাধিক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে। কিন্তু এ বারের নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে গিয়ে সেই কেজরীবালের সঙ্গেই দেখা করতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: কেজরীবালের ধর্নায় কি বদলাবে দিল্লির ভাগ্য

গত সোমবার থেকে কেজরীবালের সঙ্গেই অবস্থানে বসেছেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এবং উন্নয়নমন্ত্রী গোপাল রাই। এর মধ্যে সিসোদিয়া এবং জৈন অনশন আন্দোলনও শুরু করেছেন। অন্য দিকে লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর তিন চিকিৎসকের একটি দল গঠন করেছেন কেজরীবাল ব্রিগেডের স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য।

আরও পড়ুন: আলফার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পদক্ষেপ পুলিশের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন