—ফাইল চিত্র।
নোট বাতিল ইস্যুতে দেশ জুড়ে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টায় কোমর বেঁধে ময়দানে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘চিরশত্রু’ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে ফোন করলেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন বিরোধী দলের তরফে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে সিপিএম-ও যোগ দিক, আহ্বান মমতার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়ে প্রস্তাবটির বিষয়ে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার প্রথমে টুইট করে জানান, নোট বাতিল ইস্যু নিয়ে নিজেদের অভিযোগ তুলে ধরতে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা ১৬ অথবা ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন।
এর পরই খবর আসে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ফোন করেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরিকে। তৃণমূল সূত্রের খবর, নোট সঙ্কট ইস্যুতে হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্য ইয়েচুরিকে আহ্বান জানান মমতা। ১৬ বা ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিরোধীদের যে প্রতিনিধি দল দেখা করতে যাবে, সিপিএমকেও সেই প্রতিনিধি দলের অংশ হতে মমতা অনুরোধ করেন বলে খবর। তবে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও কথা দেননি বলে জানা গিয়েছে। মমতা যখন ফোন করেছিলেন, ইয়েচুরি তখন তামিলনাড়ুতে। তিনি নাকি জানিয়েছেন, সোমবার দিল্লি ফিরে তিনি মমতার প্রস্তাবের বিষয়টি ভেবে দেখবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, মোদী সরকারের ‘স্বৈরাচারী’ নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে কংগ্রেস-সিপিএমের হাত ধরতেও তিনি প্রস্তুত। কিন্তু সিপিএমের তরফে সে সম্ভাবনা নস্যাৎ করা হয়। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামলেও, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোনও আন্দোলন করা হবে না। শনিবারই জানিয়ে দেন সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তীরা। তার পরেও রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি সীতারাম ইয়েচুরিকে ফোন করায়, বিষয়টি সম্পূর্ণ অন্য মাত্রা পেয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক শিবির মনে করছে।
রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন। টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘মাননীয় রাষ্ট্রপতি আমার ফোন ধরেছিলেন। নোট বাতিলের জেরে সাধারণ মানুষের কী সমস্যা হচ্ছে, তা আমি রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি।’’ ১৬ বা ১৭ নভেম্বর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে রাষ্ট্রপতি রাজি হয়েছেন বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে জানিয়েছেন।