Madhyapradesh

Madhya Pradesh: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ঠেলাগাড়িতে চাপিয়ে ছুটলেন যুবক, গিয়ে দেখলেন হাসপাতাল ফাঁকা!

যুবক জানিয়েছেন, স্ত্রীর প্রসবযন্ত্রণা শুরু হলে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ১০৮-এ ফোন করেন তিনি। কিন্তু দু’ঘণ্টা কোনও অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ১৩:৩৪
Share:

ঠেলাগাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে গেলেন যুবক। ছবি: টুইটার

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ঠেলাগাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে টানা এক কিলোমিটার হাঁটলেন যুবক। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখলেন হাসপাতাল ফাঁকা। নেই কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলার ঘটনা। সেখানকার রানেহ গ্রামের বাসিন্দা কৈলাস আহিরওয়াল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় আরোগ্য কেন্দ্রে পৌঁছন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, আরোগ্য কেন্দ্রে কেউ ছিলেন না। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তা দেখে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্লক মেডিক্যাল অফিসার আর পি কোরি জানান, তিনি ওই ভিডিয়োটি দেখেছেন। এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করা হবে। আরোগ্য কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মীদের নোটিস পাঠানো হবে। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হবে কেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর জন্য ওই যুবককে একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া গেল না? কেনই বা হাসপাতালে কেউ ছিলেন না?

Advertisement

কৈলাস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রীর প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে সাহায্যের জন্য তিনি সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের নম্বর ১০৮-এ ফোন করেন। কিন্তু অভিযোগ, দু’ঘণ্টা ধরে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি। নিরুপায় হয়ে প্রসবযন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা স্ত্রীকে তিনি ঠেলাগাড়িতে তোলেন। এক কিলোমিটার হেঁটে যান স্থানীয় আরোগ্য কেন্দ্রে। কিন্তু সেখানেও কাউকে পাননি। কোনও চিকিৎসক বা নার্স ওই আরোগ্য কেন্দ্রে ছিলেন না বলে অভিযোগ করেছেন কৈলাস।

পরে অবশ্য সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সেই কৈলাসের স্ত্রীকে দামোহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে যে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে কৈলাসকে তা নেটমাধ্যমে সাড়া ফেলেছে। কেন মধ্যপ্রদেশের গ্রামে চিকিৎসা পরিষেবার এই দুরবস্থা সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন