Crime News

বাবাকে ধর্ষক সাজিয়ে জেলে পাঠিয়েছিল খোদ কন্যা! এক বছর পর সত্যি জেনে স্তম্ভিত আদালত

হরিদ্বারের বিশেষ পকসো আদালত মুক্তি দিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। তাঁর বিরুদ্ধে নিজের কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। পরে জানা যায়, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ব্যক্তিকে ফাঁসানো হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ১০:০৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কন্যা এবং স্ত্রীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এক বছর জেল খেটেছেন। অবশেষে মুক্তি পেলেন ব্যক্তি। তাঁকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। ঘটনার সত্যতা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি।

Advertisement

হরিদ্বারের বিশেষ পকসো আদালত মুক্তি দিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। ৪৩ বছরের ওই ব্যক্তি গত এক বছর ধরে নিজের কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে জেল খাটছিলেন। আদালত জানতে পেরেছে, ব্যক্তিকে ফাঁসানো হয়েছিল। তাঁর ১৫ বছরের কন্যা এবং স্ত্রী একসঙ্গে মিলে এই ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

২০২১ সালের নভেম্বরে ওই ব্যক্তির স্ত্রী হরিদ্বারের একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, বিশেষ কারণে এক মাসের জন্য তিনি তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে তাঁর স্বামী তাঁদের কন্যাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন। বাড়ি ফিরে আসার পর এই হেনস্থা, নির্যাতনের কথা তিনি জানতে পেরেছিলেন। পুলিশের কাছে বয়ানে কন্যাও মায়ের বক্তব্যকেই সমর্থন করে। সে জানায়, বাবা তাঁকে খুনের হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়ে রেখেছিলেন।

Advertisement

অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০২২ সাল থেকে তিনি জেলে ছিলেন। শুনানি চলাকালীন আদালত জানতে পারে, ওই দম্পতির মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই স্বামীর বিরুদ্ধে ওই মহিলা মিথ্যা মামলা সাজিয়েছিলেন। কিশোরীর মেডিক্যাল রিপোর্টেও ধর্ষণ বা শারীরিক নিগ্রহের কোনও চিহ্ন মেলেনি। এমনকি, দম্পতির কনিষ্ঠা কন্যা আদালতে মা এবং দিদির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। এর পরেই আদালত অভিযুক্তের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement