অর্জুন মনুভাই পাটোলিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
স্ত্রী ভারতীবেনের শেষ ইচ্ছাপূরণ করতে গুজরাতে নিজের গ্রামে এসেছিলেন অর্জুন মনুভাই পাটোলিয়া। লন্ডনের বাড়িতে রেখে এসেছিলেন চার এবং আট বছরের দুই কন্যাকে। স্ত্রীর শেষ ইচ্ছাপূরণ করে আবার ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের কাছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই শিশুকন্যার কাছে ফেরা হল না অর্জুনের। অহমদাবাদের বিমান প্রাণ গিয়েছে ৩৬ বছরের যুবকের।
এক সপ্তাহ আগেই লন্ডনে মৃত্যু হয়েছে ভারতীবেনের। স্বামীকে তাঁর শেষ ইচ্ছা জানিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গুজরাতের নর্মদায় নিজের অস্থি ভাসানোর কথা বলেছিলেন। সেই ইচ্ছা মেনেই গুজরাতের আমরেলি জেলায় নিজের গ্রাম ভাদিয়ায় এসেছিলেন অর্জুন। স্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করার পরে বৃহস্পতিবার লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইকগামী বিমানে চেপেছিলেন তিনি। উড়ানের পাঁচ মিনিটের মাথায় লোকবসতিতে ভেঙে পড়ে বিমানটি। প্রাণ যায় বিমানের যাত্রী-সহ ২৬৫ জনের। ওই দুর্ঘটনাতে প্রাণ হারিয়েছেন অর্জুনও।
অর্জুনের ভাগ্নে কৃশ জগদীশ পাটোলিয়া সমাজমাধ্যমে বলেন, ‘‘লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল ওঁর। এই দুর্ঘটনা ঘটল। এক সপ্তাহের মধ্যে দু’জনকে হারালাম আমরা।’’ লন্ডনের বাড়িতে রয়েছে অর্জুনের দুই কন্যাসন্তান। তাঁর আত্মীয়েরা জানালেন, শিশু দু’টি এক সপ্তাহের মধ্যে বাবা-মাকে হারিয়ে ‘অনাথ’ হয়ে গেল।
শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অহমদাবাদ সিভিল হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বিমানটি যে এলাকায় পড়েছে, সেখানে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক দলও। অন্য দিকে, হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত করছেন ৭০ থেকে ৮০ জন চিকিৎসক। আত্মীয়দের ডিএনএ নমুনা দিতে বলেছে প্রশাসন। দেহ চিহ্নিত হলে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।