‘এনকাউন্টারের’ দাবি ত্রিপুরায়

শান্তির বাজার থানার পুলিশ গত কাল এই ঘটনায় অভিযক্ত অজয় রুদ্রপাল ও তার মা অনিমা রুদ্রপালকে গ্রেফতার করে। বিলোনিয়া মহকুমা আদালত তাদের ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করার নামে বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়েছিল। ছেলের বাড়িতে পণের জন্য দিনের পর দিন চলত চরম অত্যাচার। পণের কিছু টাকা পাওয়ার পরেও গায়ে আগুন লাগিয়ে মেরে ফেলে হয়েছে নাবালিকাকে। শান্তির বাজার থানার পুলিশ গত কাল এই ঘটনায় অভিযক্ত অজয় রুদ্রপাল ও তার মা অনিমা রুদ্রপালকে গ্রেফতার করে। বিলোনিয়া মহকুমা আদালত তাদের ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

এই ঘটনায় গত কালই কল্যাণপুরের বিধায়ক পিনাকী দাসচৌধুরী মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু বিজেপির মহিলার মোর্চার সভানেত্রী পাপিয়া দত্তের দাবি, চাই হায়দরাবাদি দাওয়াই (পুলিশি এনকাউন্টার)। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের অভিযুক্তদের ফাঁসিই দেওয়া উচিত। আমি আইনজ্ঞ নই, কিন্তু সাধারণ মানুষ হিসাবে বলছি, আইনে হয়তো নেই। তবু এদের হায়দরাবাদের ঘটনার মতো যদি কিছু করার রাস্তা থাকে, তবে সেই ধরনের শাস্তিই দেওয়া উচিত।

মৃত মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জের অজয় বিয়ে করার কথা বলে গত ২৮ অক্টোবর খোয়াই জেলার বাড়ি থেকে মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। সামাজিক ভাবে বিয়ে দেওয়ার দিন ঠিক হয়েছিল ১১ ডিসেম্বর। শান্তির বাজার থানার আধিকারিক নারায়ণ সাহা জানান, তাঁদের কাছে মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেছেন, মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হত। মানসিক ভাবেও নির্যাতন করা হয়। পণ হিসাবে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেছিল অজয়ের পরিবার। গত ৬ তারিখ অজয়ের মা আগরতলা এসে মেয়ে পক্ষের কাছ থেকে থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। এর পরেই অজয় ও তার মা অনিমা মিলে তার মেয়েকে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মেয়েটিকে শান্তির বাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পর সেখান থেকে জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই শনিবার ভোর রাতে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে বলে নারায়ণবাবু জানিয়েছেন।

Advertisement

জিবি হাসপাতালে উপস্থিত মানুষজন উত্তেজিত হয়ে অজয় ও তার মাকে গণপ্রহার দেয়। পুলিশ এসে ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে জিবি হাসপাতাল পুলিশ চৌকিতে নিয়ে রাখে। অজয় ও তার মায়ের বিরুদ্ধে পণের জন্য নির্যাতন ও হত্যার মামলা করা হয়েছে। এবং তার ভিত্তিতেই গত কাল শান্তির বাজার থানার পুলিশ অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আজ তাদের বিলোনিয়া কোর্টে তোলা হয়। ফার্স্ট ক্লাস জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুধুমিতা বিশ্বাস ১৯ তারিখ পর্যন্ত অজয় ও তার মাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন