National news

৮০ লক্ষ টাকা ডাকাতি রুখে পুরস্কার টি-শার্ট! মালিককে পাল্টা ‘শিক্ষা’ কর্মীর

ডাকাতদের সঙ্গে লড়াই করে মালিকের ৮০ লক্ষ টাকা বাঁচিয়েদিয়েছিলেন।কিন্তু মালিক তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দেননি। তাই প্রতিশোধ নিয়ে এ বারসেই মালিকেরই ৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়েচম্পট দিলেন কর্মচারী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:০০
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

ডাকাতদের সঙ্গে লড়াই করে মালিকের ৮০ লক্ষ টাকা বাঁচিয়েদিয়েছিলেন।কিন্তু মালিক তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দেননি। তাই প্রতিশোধ নিয়ে এ বারসেই মালিকেরই ৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়েচম্পট দিলেন কর্মচারী।

Advertisement

২৮ অগস্ট ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। টাকা হাতিয়ে এক বন্ধুর সাহায্যে নৈনিতালে চম্পট দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। সম্প্রতি পুলিশ ওই বন্ধুকে গ্রেফতার করলে তাঁর কাছ থেকেই পুরো ঘটনাটি জানতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কর্মচারীর নাম ধ্যান সিংহ বিস্ত। বন্ধু ইয়াকুবের সাহায্যেই টাকা নিয়ে নৈনিতাল চম্পট দিয়েছিলেন তিনি। ইয়াকুবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে ধ্যান সিংহের।

ধ্যান সিংহ দিল্লির এক ব্যবসায়ীর অধীনে কাজ করতেন। খুবই বিশ্বস্ত কর্মচারী ছিলেন তিনি। ব্যবসার প্রয়োজনে মোটা টাকার লেনদেন তাঁর হাত দিয়েই করাতেন মালিক। শহরেরই একটি ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য ৮০ লক্ষ টাকা তাঁর জিম্মায় দেন মালিক। পথে ডাকাতদের কবলে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। সাক্ষাৎ হিরোর মতো প্রাণপণ লড়ে ডাকাতদের থেকে ৮০ লক্ষ টাকা রক্ষা করেন। তারপরকলার উঁচিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে মালিকের হাতে টাকাটা ফিরিয়ে দেন। ধ্যান সিংহ ভেবেছিলেন মালিক খুশি হয়ে তাঁকে মোটা টাকা পুরস্কার দেবেন। কিন্তু আশাভঙ্গ করে পুরস্কারস্বরূপ মালিক তাঁর হাতে একটি টি-শার্ট ধরিয়ে দেন!

Advertisement

আরও পড়ুন: ভাঙা মাস্তুল... অবশেষে মাঝ সমুদ্র থেকে উদ্ধার নৌবাহিনীর অসুস্থ কম্যান্ডার

পুলিশ জানিয়েছে, এতেই মালিকের উপর চটে যান ধ্যান সিংহ।মনে মনে মোক্ষম শিক্ষা দেওয়ার ফন্দি ছকে ফেলেন।

কিছু দিন পর মালিক ফের তাঁকে ৭০ লক্ষ টাকা দেন ব্যাঙ্কে জমা করার জন্য। কিন্তু এ বার আর সততার পথ মাড়াননি। উল্টে বন্ধু ইয়াকুবের সঙ্গে ছক কষে টাকা হাতিয়ে নৈনিতাল চম্পট দেন।

আরও পড়ুন: ১৯ বছর ধরে এই শহরে কোনও গাড়ি নেই, কেন জানেন?

গ্রেফতারের পর বন্ধু ইয়াকুব তাঁদের ছকের সবটাই পুলিশকে জানান। ইয়াকুবের একটা দোকান রয়েছে দিল্লিতে। তিনি জানান, ওই দিন প্রথমে টাকার ব্যাগ নিয়ে মোটরবাইকেতাঁর দোকানেই হাজির হন ধ্যান সিংহ। আগে থেকেই তাঁদের ছক কষা ছিল। সেখান থেকে ইয়াকুবের গাড়িতে নৈনিতাল পালান তাঁরা। কথামতো প্রথম দফার ৪ লক্ষ টাকা ইয়াকুবকে দেন তিনি। সেই টাকা নিয়ে প্রমাণ লোপাট করতে দিল্লি ফিরে আসেন ইয়াকুব। দোকানে রাখা ধ্যান সিংহের মোটরবাইক বিক্রি করতে গিয়েই পুলিশের কাছে ধরা পড়ে যান ইয়াকুব।

ইয়াকুব জানান, ধ্যান সিংহের তিন মেয়ে। তাঁদের বিয়ে কী ভাবে দেবেন তা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। তার মধ্যেই মালিকের ব্যবহার খুব আঘাত করেছিল তাঁকে। ডাকাতদের সঙ্গে লড়ে আহতও হয়ে পড়েছিলেন। দু’য়ে মিলে এরকম একটা ফন্দি এঁটে ফেলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন