মেনকা কি অন্য দায়িত্বে, জোর জল্পনা

মেনকা গাঁধীকে কেন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হল, তারও উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না অনেক বিজেপি নেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৯ ০৩:১৮
Share:

রাজনাথ সিংহকে স্বরাষ্ট্র ছাড়তে হবে, বিজেপির অনেকেই ভাবেননি। সুষমা স্বরাজের বদলে বিদেশ মন্ত্রকে জয়শঙ্করকে আনা হবে, এটিও ছিল চিন্তার বাইরে। তেমনই মেনকা গাঁধীকে কেন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হল, তারও উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না অনেক বিজেপি নেতা। তা হলে কি বিজেপিতে গাঁধী পরিবারের প্রয়োজন ফুরোল? নাকি মেনকাকে নিয়ে কোনও বিকল্প ভাবনা আছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের?

Advertisement

কংগ্রেসের রাহুল গাঁধীকে মোকাবিলার জন্য এক সময়ে বরুণ গাঁধীকে দলে এনেছিলেন বিজেপির প্রয়াত নেতা প্রমোদ মহাজন। কিন্তু বিজেপিতে এসেও গাঁধী পরিবারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হননি বরুণ গাঁধী। বিজেপির অনেকেই ভাবছেন— বরুণ না হয় তার খেসারত দিচ্ছেন, কিন্তু তাঁর মা মেনকার কী দোষ? ভবিষ্যতে দলের সভাপতির পথ প্রশস্ত করতে যে ভাবে জগৎপ্রকাশ নড্ডাকে মন্ত্রিসভার বাইরে রাখা হয়েছে, মেনকার জন্যও কি তবে
অন্য কোনও দায়িত্বের কথা ভেবে রেখেছেন নেতৃত্ব?

সেটি কী হতে পারে?

Advertisement

বিজেপি নেতাদের জল্পনা— হতে পারে মেনকাকে লোকসভার স্পিকার করে দেওয়া হল! ১৭ জুন থেকে ২৬ জুলাই সংসদের বাজেট অধিবেশন। আর ১৯ জুন স্পিকার নির্বাচন। তার আগে মেনকাকে ‘প্রোটেম স্পিকার’ নিয়োগ করে নতুন সাংসদদের শপথ পাঠ করাতে পারেন তিনি। তার পরে পাকাপাকি যদি স্পিকারই নিয়োগ করা হয়! বিজেপির এক নেতার মতে, ‘‘এতে লাভ অনেক। লোকসভার স্পিকারের চেয়ারে মেনকাকে বসিয়ে দিলে সনিয়া গাঁধীর জন্য
সেটি বিড়ম্বনার কারণ হয়ে উঠতে পারে। আবার রাহুলও যদি আক্রমণাত্মক হতে চান, মেনকার হস্তক্ষেপে সেটি খুব সুখকর হবে না। কোনও বিবাদ বাধলে সেটি ‘পরিবারের রেষারেষি’ হিসাবেও দায় ঝাড়তে পারবে বিজেপি।’’

কিন্তু এ সব আলোচনা সব বিজেপি শিবিরে। মেনকাকে শুধু সাংসদ করে রাখা হবে, নাকি কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটি জানেন মোদী-শাহই। অমেঠীতে রাহুল গাঁধীকে হারানোর পরে স্মৃতি ইরানিকেও ওজনদার মন্ত্রক দেওয়া হবে বলে ভেবেছিলেন অনেকে। গত কাল রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের পরে জনতার হর্ষোল্লাস ছিল স্মৃতির জন্যও। এক দিন পর আজ মন্ত্রক বণ্টনের পর দেখা গেল, স্মৃতিকে আগের বস্ত্র মন্ত্রকের পাশাপাশি মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতর দেওয়া হয়েছে। আগের দফায় যে দফতর ছিল
মেনকার কাছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন