প্রতীকী ছবি।
মামলায় জেরবার মণিপুর-নাগাল্যান্ডের ক্ষমতা হারানো মুখ্যমন্ত্রীরা। নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি জঙ্গি যোগসাজশের জন্য এনআইএ তলব পাঠাচ্ছে বার বার। অন্য দিকে, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে মামলা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, এ সবই বিজেপির ‘প্রতিশোধ’-এর নমুনা।
নাগাল্যান্ডের বর্তমান বিরোধী দলনেতা তথা সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, টি আর জেলিয়াংকে ৩১ মার্চ দিল্লিতে তলব করেছে এনআইএ। জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সরকারি টাকা ‘সরবরাহ’-এর অভিযোগে ২৫ মার্চ কোহিমার তিন সরকারি কর্তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তদন্ত সংস্থার দাবি, ধৃত জঙ্গি ও সরকারি কর্তাদের জেরা করে জানা গিয়েছে, টাকা লেনদেন জেলিয়াংয়ের জ্ঞাতসারেই হয়েছে। এর আগে দু’বার এনআইএ তাঁকে তলব করেছিল। কিন্তু বিজেপি জোটের ছত্রছায়ায় থাকা জেলিয়াং প্রতিবারই নিজে না হাজির হয়ে আইনজীবী পাঠান। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এ বার তাঁকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। এনআইএ এক সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, হাজির না হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। বিহারের আরজেডির সুরেই নাগা পিপলস ফ্রন্টের (এনপিএফ) দাবি, জেলিয়াংকে ফাঁসানোর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। মূল চক্রী বিজেপি।
এনআইএর অভিযোগ পত্রে ও বিবৃতিতে সরকারি টাকা নেওয়ার তালিকায় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের নাম থাকলেও নেই রাজ্যের সব থেকে প্রভাবশালী এনএসসিএন (আইএম)-এর নাম। খাপলাং গোষ্ঠীর মুখপাত্র ইসাক সুমির মতে, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও ও আইএমের সম্পর্ক অনেক দিনের। তাদের সঙ্গেই শান্তি আলোচনা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেটাই হয়তো কারণ।
অন্য দিকে, মণিপুরের তিন দফার কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহের বিরুদ্ধে লোকটাক উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে নজরদারি ও দুর্নীতি দমন শাখা। অভিযোগ, ২০০৮-২০০৯ সালে লোকটাক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরোবরের পানা সাফ করার জন্য বেআইনি ভাবে বরাত
দেওয়া হয়। গত বছর রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরেই ইম্ফল থানায় এ নিয়ে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এফআইআরে তিন প্রাক্তন মুখ্যসচিবের নামও জড়িয়েছে।