Manipur assembly

কুকি সংঘর্ষবিরতি রদে প্রস্তাব পাশ মণিপুরের 

বিধানসভা অধিবেশনে অংশ না নেওয়া রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ ১০ কুকি বিধায়ক যদিও এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে যৌথ বিবৃতিতে বিধানসভার সিদ্ধান্তকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৪ ০৯:০১
Share:

মণিপুর বিধানসভা। — ফাইল চিত্র।

মণিপুরের কুকি জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে চলা সংঘর্ষবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হল ২৯ ফেব্রুয়ারি। এই সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ আর না বাড়ানোর দাবিতে মণিপুর বিধানসভা সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করল। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সরকার ২০২৩ সালের মার্চেই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। তবে ইউপিএফ এবং কেএনও মঞ্চের অধীনে থাকা কুকি সংগঠনগুলির সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে কেন্দ্র এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ দিনই নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, মণিপুরে শিবিরবাসীদের জন্য আলাদা করে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

Advertisement

বিধানসভা অধিবেশনে অংশ না নেওয়া রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ ১০ কুকি বিধায়ক যদিও এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে যৌথ বিবৃতিতে বিধানসভার সিদ্ধান্তকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘২০০৮ সাল থেকে চলে আসা সংঘর্ষবিরতি চুক্তির বিষয়টি তদারক করে যৌথ নজরদারি গোষ্ঠী। কুকিরা চুক্তির নীতি-নিয়ম ভেঙেছে কি না, সে ব্যাপারে কমিটির রিপোর্টের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কুকি জঙ্গিদের দিকে আঙুল তোলা হলেও সম্প্রতি শান্তিচুক্তি করা মেইতেই জঙ্গি সংগঠন ইউএনএলএফ যে প্রকাশ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়েছে, তা সকলেই দেখেছে। সে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে হওয়া চুক্তিও বাতিল করা উচিত ছিল।’ কুকি বিধায়কেরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে বিষয়টি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

রাজ্যে অবিলম্বে এনআরসি প্রক্রিয়া শুরু করা নিয়েও কেন্দ্রকে চাপ দিতে আজ সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করেছে মণিপুর বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন বলেন, রাজ্যে বহিরাগতদের সংখ্যা বৃদ্ধি, ব্যাঙের ছাতার মতো গ্রাম তৈরি হওয়া এক অশনি সঙ্কেত। এখনই ব্যবস্থা
না নিলে ভূমিপুত্রদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হয়ে পড়বে।

Advertisement

এ দিকে, মেশিনগান হাতে ১০ জন যুবক বীরেনের উদ্দেশে ভিডিয়োয় হুমকি দিয়েছে, তারা দু’মাসের মধ্যে কাংলা দুর্গ দখল করে নেবে। পুলিশের মতে, মেইতেই ভাষায় হুমকি দিলেও তারা সম্ভবত কুকি জঙ্গি। রাজ্যের পশ্চিম ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, থৌবাল, চূড়াচাঁদপুর, কাংপোকপি, টেংনাওপাল জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্য সরকার সেনা ও আসাম রাইফেলসের সাহায্য চেয়েছে। কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গ ও মেইতেই গ্রামরক্ষী, আরাম্বাই টেঙ্গল বাহিনীর বিরুদ্ধে কড়া পুলিশি পদক্ষেপের প্রতিবাদে জনতা আরাম্বাইয়ের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে। মণিপুরের কুকি বিধায়ক নেমচা কিপজেন অভিযোগ করেন, আলফা স্বাধীন মেইতেইদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। আলফা সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন