Aribam Syam Sharma

নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে পদ্মশ্রী ফেরাচ্ছেন ১৫ বার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই পরিচালক

রবিবার সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে অরিবাম শ্যাম শর্মা  বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল উত্তর-পূর্ব এবং মণিপুরে আদি বাসিন্দাদের স্বার্থবিরোধী। মণিপুরের অনেকেই ইতিমধ্যে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও বিল পাশ করাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের অন্যতম অসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী। তাই সেটি ফিরিয়ে প্রতিবাদ জানানোই যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে আমার।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:৪৫
Share:

অরিবাম শ্যাম শর্মা এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেবেন বলে ঘোষণা করলেন।—ফাইল চিত্র।

জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ১৫ বার। দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মশ্রীও রয়েছে ঝুলিতে। মণিপুরের সেই চিত্র পরিচালক, অরিবাম শ্যাম শর্মা এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে সরব হলেন। পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেবেন বলে ঘোষণা করলেন।

Advertisement

রবিবার সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে অরিবাম শ্যাম শর্মা বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল উত্তর-পূর্ব এবং মণিপুরে আদি বাসিন্দাদের স্বার্থবিরোধী। মণিপুরের অনেকেই ইতিমধ্যে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও বিল পাশ করাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের অন্যতম অসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী। তাই সেটি ফিরিয়ে প্রতিবাদ জানানোই যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে আমার।’’

তাঁর দাবি, ‘‘এমনিতেই মণিপুরের বাসিন্দারা নিরাপদ নন। তার উপর আরও লোক এলে আদি বাসিন্দারা গায়েব হয়ে যাবেন। আর তাঁরা না থাকলে রাজ্যে সংস্কৃতি বলে কী থাকবে? মণিপুরের কোনও ভবিষ্যত্ই থাকবে না। যত দিন যাচ্ছে, আবর্জনার স্তুপে পরিণত হচ্ছে দেশের উত্তর-পূর্ব অংশ।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: পটনায় তেজস্বীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাহুল, প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ্য রাহুলই, পাল্টা তেজস্বীর

‘ইশানউ’, ‘ইমাগি নিংদেম’, ‘লেইপাকলেই’-এর মতো ছবি পরিচালনা করেছেন অরিবাম শ্যাম শর্মা। ২০০৬ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করে তত্কালীন সরকার। তবে তিনি একা নন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে অসম, মণিপুর সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের অনেকেই সরব হয়েছেন।

আরও পড়ুন: অমিতের পর যোগীর কপ্টারও নামতে দিল না রাজ্য সরকার

ক্ষমতায় আসার পর ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব বিলের সংশোধন ঘটায় নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০১৬ সালে সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলটি পেশ করে তারা। তাতে পড়শি দেশ আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং ক্রিশ্চান নাগরিকদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব ওঠে। শুরু থেকেই এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন উত্তর-পূর্বের বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন