জেল থেকেই নির্দেশ মাওবাদী নেতার

জেলে বসেই দলীয় সহকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া ও তোলাবাজি চালাচ্ছিল মাওবাদী নেতা অজয় কান্দু। ভোর রাতে জেলের ভিতরে অভিযান চালিয়ে এমন তথ্যই হাতে পেল পটনা পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৫১
Share:

জেলে বসেই দলীয় সহকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া ও তোলাবাজি চালাচ্ছিল মাওবাদী নেতা অজয় কান্দু। ভোর রাতে জেলের ভিতরে অভিযান চালিয়ে এমন তথ্যই হাতে পেল পটনা পুলিশ। আজ রাত তিনটে নাগাদ পটনার বেউড় জেলে অভিযান চালায় পটনা পুলিশ ও প্রশাসন। জেলাশাসক সঞ্জয় অগ্রবাল ও এসএসপি মনু মহারাজের নেতৃত্বে তিন ঘণ্টা ধরে সেই অভিযান চলে।

Advertisement

অভিযানের সময়েই মাওবাদী নেতা অজয় কান্দু ওরফে রবির সেল থেকে একটি লাল ডায়েরি এবং মোবাইল উদ্ধার করা হয়। সেই ডায়েরি ঘেঁটে এবং মোবাইলের কললিস্ট চেক করে তোলাবাজি চালানোর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে পটনা পুলিশ। বিষয়টি তদন্তের জন্য সিআইডি এবং এটিএস দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। উদ্ধার হওয়া ডায়েরি থেকে মাওবাদীদের লেভি সংক্রান্ত নানা তথ্য মিলবে বলে পুলিশের দাবি। একটি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গাঁধী ময়দান ও মহাবোধি মন্দিরে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দশ জঙ্গি বন্দি রয়েছে পটনার বেউর জেলে। বন্দি রয়েছে কয়েকজন মাওবাদী জঙ্গি। এ ছাড়াও নানা অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের দুই বাহুবলী বিধায়ক অনন্ত সিংহ, রীতলাল যাদবকেও বেউড়েই রাখা হয়েছে। এখানেই একটি সেলে রয়েছে মাওবাদী নেতা রবি।

Advertisement

২০০৫ সালে বিহারের জহানাবাদে জেল ভেঙে রবিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল দলের গেরিলা বাহিনী। সব রকমের অস্ত্র চালাতে এবং বিস্ফোরক তৈরিতে ‘এক্সপার্ট’ রবিকে পরে ফের গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকেই তার ঠিকানা বেউড় জেল।

গত কিছু দিন ধরেই বেউড় জেল থেকে নানা অপরাধমূলক কাজকর্ম পরিচালনার অভিযোগ আসছিল। তারই প্রেক্ষিতে জেলের ভিতরে আচমকা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ-প্রশাসন। এ দিন, বেউড় জেল থেকে ছ’টি স্মার্ট ফোন, কয়েকটি পেন ড্রাইভ, গাঁজা-সহ বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement