Marital Rape

Marital rape: আইন যা-ই বলুক, বৈবাহিক ধর্ষণ বিবাহ বিচ্ছেদের সঙ্গত কারণ, বলল আদালত

আদালত জানিয়েছে, বিয়ে করেছেন বলে স্ত্রীর ব্যক্তি স্বাধীনতা উপেক্ষা করে তাঁর শরীরের উপর স্বামীর বলপূর্বক কর্তৃত্ব বৈবাহিক ধর্ষণই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২১ ১৭:৩১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বৈবাহিক ধর্ষণ আইনি বিচ্ছেদের যুক্তিগ্রাহ্য কারণ হতে পারে বলে এ বার জানিয়ে দিল কেরল হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ভারতের মতো দেশে বৈবাহিক ধর্ষণ এখনও দণ্ডনীয় অপরাধ বলে যদিও বিবেচিত নয়। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় তা যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য কারণ।

Advertisement

স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেরলের পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পৃথক দু-দু’টি আবেদন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক এবং কৌসর এদাপ্পাগথ।

শুক্রবার মামলার শুনানি চলাকালীন দুই বিচারপতি বলেন, ‘‘ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত নয়। যদিও তাকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের আওতায় ফেলা হয়। কিন্তু বিয়ে করেছেন বলে স্ত্রীর ব্যক্তি স্বাধীনতা উপেক্ষা করে তাঁর শরীরের উপর বলপূর্বক স্বামীর কর্তৃত্ব বৈবাহিক ধর্ষণই।’’

Advertisement

এ ছাড়াও আদালত জানিয়ে দেয়, আধুনিক সমাজব্যবস্থায় বিবাহবন্ধনে থাকা স্বামী এবং স্ত্রী, দু’জনেই একে অপরের সমকক্ষ। স্ত্রীর শরীর হোক বা তাঁর আত্মপরিচয়, কোনও কিছুর উপর কর্তৃত্ব চালাতে পারেন না স্বামী। স্ত্র্রীর শরীরকে স্বামী যদি নিজের সম্পত্তি ভাবেন এবং ইচ্ছের বিরুদ্ধে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তা বৈবাহিক ধর্ষণ ছাড়া কিছু নয়।

বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে বহু বছর ধরে তর্ক-বিতর্ক চলে আসছে দেশে। রক্ষণশীলরা এর সঙ্গে পশ্চিমি সংস্কৃতিকে জুডে় দিয়েছেন। কিন্তু কেরল আদালত জানিয়েছে, মন ও শরীরের সংমিশ্রণেই ব্যক্তি স্বাধীনতা গড়ে ওঠে। তাই শরীরে আঘাত হানার অর্থ ব্যক্তি স্বাধীনতায় আঘাত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন