বৃষ্টিতে স্তব্ধ দিল্লি-কলকাতা জাতীয় সড়ক! ছবি: সংগৃহীত।
গত সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিতে এখনও জলমগ্ন দিল্লি-কলকাতা জাতীয় সড়কের একাংশ। জায়গায় জায়গায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক সার্ভিস লেন। যার জেরে গত কয়েক দিন ধরে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। চার দিন ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি গাড়ি।
গত শুক্রবার প্রবল বর্ষণ হয়েছে বিহারের রোহতাসে। তার পর থেকেই দিল্লি থেকে কলকাতাগামী ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ডাইভারশন লেন এবং সার্ভিস লেনগুলি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। কোনও কোনও রাস্তায় আবার দেখা দিয়েছে বড়সড় গর্ত। ফলে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেছে। তা ছাড়া, দীর্ঘ যানজটে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগছে। রোহতাস থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে আওরঙ্গাবাদ পর্যন্ত শুধুই গাড়ির লম্বা লাইন। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র পাঁচ কিলোমিটার এগিয়েছে গাড়িগুলি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত চার দিন ধরে পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারতের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (এনআইচএআই), স্থানীয় প্রশাসন কিংবা রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থা— কেউই এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপও করেনি বলে অভিযোগ। যানজটে গত চার দিন ধরে একই জায়গায় আটকে থাকা এক ট্রাকচালক প্রবীণ সিংহ এনডিটিভি-কে বলেন, ‘‘গত ৩০ ঘণ্টায় আমরা মাত্র ৭ কিলোমিটার এগোতে পেরেছি। টোল, রোড ট্যাক্স এবং অন্যান্য টাকা দেওয়া সত্ত্বেও আমাদের কেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে?’’ আর এক ট্রাকচালক সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘গত দু’দিন ধরে যানজটে আটকে আছি। আমরা ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত। খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছি। কয়েক কিলোমিটার পথ পেরোতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।’’ যানজটের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসাও। পচনশীল খাদ্যসামগ্রী বহনকারী ট্রাকচালকেরা মাল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন। শুধু তা-ই নয়, অ্যাম্বুল্যান্স, জরুরি পরিষেবা এবং পর্যটকদের গাড়িও যানজটের কারণে দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরাও।