ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংরক্ষিত টিকিট কাটার প্রশ্নে নতুন নিয়ম চালু করল রেলমন্ত্রক। আজ রেল জানিয়েছে, দালালদের উৎপাত কমাতে এখন থেকে আইআরসিটিসি-তে নথিভুক্ত একটি ইউজার আইডি থেকে দিনে সর্বাধিক দু’টি টিকিট (সাধারণ বা তৎকাল শ্রেণি) ও মাসে সর্ব্বোচ্চ ছ’টি টিকিট কাটতে পারবেন। এত দিন একটি আই ডি-র মাধ্যমে সর্বাধিক দশটি টিকিট কাটা যেত। তা বদল করে নতুন এই নিয়ম চালু হচ্ছে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে।
কেন এই পরিবর্তন?
মন্ত্রক জানিয়েছে, দালালদের উপদ্রুব ঠেকাতে এর আগে মাসে সর্বাধিক দশটি টিকিটের কোটা বেঁধে দিয়েছিল রেলমন্ত্রক। কিন্তু গত কয়েক মাসের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গড়ে ৯০ শতাংশ যাত্রীর মাসে ছ’বারের বেশি সংরক্ষিত টিকিটের প্রয়োজন হয় না। আর যে ১০ শতাংশ মানুষ মাসে ৬টির বেশি টিকিট কাটেন, মন্ত্রক বলছে, তাদের অধিকাংশই হয় ট্র্যাভেল এজেন্ট বা দালাল। তাদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকিয়ে আম যাত্রীদের সুবিধে করে দিতেই নুতন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক। তবে টিকিট কাটার সংখ্যার এই যে বাধ্যবাধকতা তা কেবল যারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিকিট কাটছেন তাদের জন্য প্রয়োজ্য হবে। কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটার প্রশ্নে এখনই কোনও সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।
আমজনতার দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ ছিল যে, সাধারণ বা তৎকাল শ্রেণি টিকিট কাউন্টার খুলতেই ফুরিয়ে যায়। যাত্রীদের অভিযোগ, বুকিং ক্লার্কদের সঙ্গে যোগসাজশ থাকায় এজেন্টরা শুরুতেই প্রয়োজনীয় টিকিট তুলে নেয়। এই সমস্যা মেটাতেও পদক্ষেপ করেছে রেল। মন্ত্রক জানিয়েছে, সাধারণ টিকিট (সকাল ৮টা থেকে ৮.৩০ পর্যন্ত) ও তৎকাল টিকিট (বাতানুকূলীন শ্রেণি ১০টা থেকে ১০.৩০ পর্যন্ত, স্লিপার শ্রেণি ১১টা থেকে ১১.৩০ পর্যন্ত)-এর ক্ষেত্রে কাউন্টার খোলার প্রথম আধঘন্টা টিকিট কাটতে পারবেন না ট্র্যাভেল এজেন্টরা।