জন্মদিনে মায়া তোফা চাইলেন মোদীর হার

নরেন্দ্র মোদী হারলে, সেটাই হবে তাঁর জন্মদিনের উপহার। লখনউয়ের মল রোডের অফিসে বসে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী আজ এই উপহারই চাইলেন নিজের দল এবং এসপি-র কাছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:২০
Share:

শুভেচ্ছা: বুয়া মায়াবতীর কাছে অখিলেশ যাদব। মঙ্গলবার লখনউয়ে। পিটিআই

নরেন্দ্র মোদী হারলে, সেটাই হবে তাঁর জন্মদিনের উপহার। লখনউয়ের মল রোডের অফিসে বসে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী আজ এই উপহারই চাইলেন নিজের দল এবং এসপি-র কাছে।

Advertisement

এসপি-র সঙ্গে জোট ঘোষণা হয়েছে সদ্য। আজ ভোট প্রচারের ঢাকে কাঠি পড়ল মায়াবতীর জন্মদিনে। সাংবাদিক বৈঠক করে দলিত, তফসিলি জনজাতি, মুসলমান, কৃষিক, শ্রমিকদের সঙ্কট মোচনের ডাক দিলেন মায়া। সাংবিধানিক সংস্থাগুলি অপব্যবহারের অভিযোগে মোদী সরকারকে আক্রমণ করলেন। পাশাপাশি কংগ্রেসকে বিঁধে কৃষি নীতি নিয়ে সরগরম করলেন জন্মদিনের মঞ্চ। সদ্য পাওয়া জোটসঙ্গী এসপির অখিলেশ সিংহ যাদব পরে এসে ‘বুয়া’কে শাল উপহার দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দু’নেতার মধ্যে বৈঠকও হয়েছে আজ।

বিএসপি নেত্রীর কথায়, ‘‘ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্যে আমরা এসপি-র সঙ্গে জোট করেছি। এটা বিজেপির ঘুম কেড়ে নিয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রিত্বের বিষয়টিকেও উস্কে দিয়ে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘এই রাজ্যই স্থির করে, কেন্দ্রে কারা ক্ষমতায় আসবে এবং কে হবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সব মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে রেখে বিএসপি এবং এসপিকে একজোট হয়ে লড়তে হবে যাতে জয় আসে। আমার কাছে এটাই হবে জন্মদিনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।’’

Advertisement

জোট ঘোষণার দিনের মতোই এ দিনও বুঝিয়ে দেন কংগ্রেস এখনও তাঁর কাছে ‘নাগনাথ’-ই। মায়াবতীর মতে, যে তিনটি রাজ্যে কংগ্রেস সম্প্রতি জিতেছে, সেখান থেকে তাদেরই অনেক কিছু শেখার আছে। ওই রাজ্যগুলিতে মাত্র ৯ মাস আগে থেকে ঋণ মকুবের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। এতে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আঙুল উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু মাত্র ২ লক্ষ টাকা ঋণ মকুব করলে কৃষক সমস্যার সমাধানই হবে না। দলিত, আদিবাসী, মুসলমান, অন্য সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘু, ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষক, যাঁরা অন্যের জমিতেও কাজ পান না, তাঁদের ঋণ পুরোপুরি মকুব করতে হবে। এরই সঙ্গে মায়ার ইঙ্গিত, ক্ষমতায় এসে এক বারের জন্য কৃষকদের সমস্ত ঋণ মকুব করবেন।

কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও মায়ার মূল নিশানা ছিল মোদী সরকারই। আরএসএস এবং বিজেপি-কে ‘ধর্মের নামে রাজনীতি করা সঙ্কীর্ণ সাম্প্রদায়িক শক্তি’ বলে উল্লেখ করে মায়া বলেন, ‘‘কালো টাকা ফিরিয়ে গরিবদের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদী সরকার। তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সিবিআই ও অন্যান্য সাংবিধানিক সংস্থাকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিতে ব্যবহার করছে।’’

কয়েক বছর আগেও মায়াবতীর জন্মদিনে চোখ ধাঁধানো রোশনাই, টন টন লাড্ডু ও টাকার মালার বন্যা বইত। হালে জন্মদিনের উৎসবটা অনেকটাই নিচু তারে বেঁধেছেন দলিত নেত্রী। নির্বাচনের বছর বলে এ বার তো আরও সতর্ক। তাঁর লেখা আত্মজীবনীর নবতম সংস্করণ প্রকাশ এবং সাংবাদিক বৈঠকই ছিল এ বারের জন্মদিনের মুখ্য আকর্ষণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন