Unemployment

ভূমি দফতরের কেরানির চাকরি পেতে ডক্টরেট-এমবিএদের ভিড়! জমা পড়ল লাখ লাখ আবেদন

মোট ৬ হাজার শূন্যপদের ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। সব পদই ছিল ভূমি রাজস্ব দফতরে চাকরির। সেই চাকরি পেতেই জমা পড়েছে ১২ লক্ষেরও বেশি আবেদন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫৯
Share:

প্রশ্ন উঠেছে বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে। উচ্চশিক্ষার পরও কি যোগ্য চাকরি পাচ্ছেন না পড়ুয়ারা! প্রতীকী ছবি।

এই চাকরি পেতে যে কোনও বিষয়ে স্নাতক হলেই যথেষ্ট। তবে সে তো খাতায়কলমে! আপাতত কয়েক হাজার ডক্টরেট ডিগ্রিধরীও এই চাকরির জন্যই হাপিত্যেশ করে বসে! পরীক্ষা দিয়ে এই চাকরিই পেতে চান লাখ খানেক এমবিএ ডিগ্রিধারীও। ভূমি রাজস্ব দফতরের ‘পাটোয়ারি’ পদের এমন মারকাটারি চাহিদা দেখে অবাক চাকরির বিজ্ঞপ্তিদাতারাই।

Advertisement

মোট ৬০০০ শূন্যপদে নিয়োগ হবে জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে জমা পড়েছে ১২ লক্ষ ৭৯ হাজার আবেদন। এর মধ্যে পিএইচডি বা ডক্টরেট ডিগ্রিধারী রয়েছেন হাজার খানেক। ৮৫ হাজার আবেদন করেছেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রীরা। এ ছাড়া ১ লক্ষ এমবিএ স্নাতক এবং ১ লক্ষ ৮০ হাজার বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগের স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা রয়েছেন।

পাটোয়ারি হল ভূমি রাজস্ব দফতরের কেরানি স্তরের চাকরি। এঁদের দায়িত্ব মূলত জমির ফলনের হিসাব রাখা। এ ছাড়া জমির সাম্প্রতিকতম তথ্য, মালিক কে— সেই সব বিষয়ও নথিভুক্ত করার দায়িত্ব থাকে পাটোয়ারিদের। পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কর আদায়ের কাজ করতে হয় তাদেরই। সেই কাজের ৬০০০ শূন্যপদ নিয়েই আপাতত টানাটানি ১২.৭৯ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে।

Advertisement

ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। মধ্যপ্রদেশের ভূমি রাজস্ব দফতর জানিয়েছে, এর আগে এই পদে শেষ বার নিয়োগ হয়েছিল ২০১৭-১৮ সালে। তার পর আবার এই বছরই প্রকাশিত হল শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি। পরীক্ষা হবে ১৫ মার্চ দু’টি সেশনে। তবে তার আগে বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে যে ভাবে গবেষণার পড়ুয়া থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষার ডিগ্রিধারীরা আবেদন করেছেন, তাতে প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের বিজেপি সরকারের ভূমিকা নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের শাসনে বেকারত্ব বেড়েছে মধ্যপ্রদেশে? এতটাই যে গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার ছাত্র-ছাত্রীরা কাজ পাচ্ছেন না!

মধ্যপ্রদেশ সরকার অবশ্য তথ্য দিয়ে বলেছে, মধ্যপ্রদেশের বেকারত্বের হার দেশের অন্যান্য অনেক রাজ্যের থেকেই কম। একটি সংস্থার দেওয়া তথ্য বলছে জানুয়ারিতেও এই হার ছিল ১.৯ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজও এ সংক্রান্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাজার হাজার পদ তৈরি করে নিয়োগ হচ্ছে। আমরা রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের যথাসম্ভব কাজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন