National News

হিজাব পরে আসায় ছাত্রীকে বসতে দেওয়া হল না পরীক্ষায়! এ বার দিল্লিতে

গত সপ্তাহে নেট পরীক্ষা ছিল তাঁর। পরীক্ষার সিট পড়েছিল দিল্লির রোহিণী এলাকায়। নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন উমাইয়া

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

গোয়ার পর এ বার দিল্লি। হিজাব পরে যাওয়ায় ফের এক ছাত্রীকে বসতেই দেওয়া হল না পরীক্ষায়। ছাত্রীর নাম উমাইয়া খান। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়ছেন।

Advertisement

গত সপ্তাহে নেট পরীক্ষা ছিল তাঁর। পরীক্ষার সিট পড়েছিল দিল্লির রোহিণী এলাকায়। নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন উমাইয়া। অভিযোগ, যে ঘরে সিট পড়েছিল সেই ঘরে ঢুকতে যেতেই পরীক্ষকদের বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে।

ওই ছাত্রীর দাবি, পরীক্ষার হলে দায়িত্বে থাকা পুরুষ ও মহিলা পর্যবেক্ষকরা তাঁকে পরীক্ষায় বসতে বাধা দেন। কেন তাঁকে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, এই প্রশ্ন করতেই পর্যবেক্ষকরা সাফ জানিয়ে দেন, হিজাব পরে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না। পরীক্ষায় বসতে হলে হিজাব খুলে ফেলতে হবে!

Advertisement

ছাত্রীটি বলেন, “পরীক্ষকদের বার বার বলি এটা আমার ধর্মীয় ব্যাপার। হিজাব খুলতে পারব না।তাঁদের অনুরোধও করি পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার জন্য, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। শুধু তাই নয়, শীর্ষ আধিকারিকদের জানালেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেননি।”

আরও পড়ুন: ‘আর কত স্বাধীনতা দরকার?’ নাম না করে নাসিরুদ্দিনকে কটাক্ষ অনুপম খেরের

পরীক্ষায় বসতে না পেরে বাড়ি ফিরে আসেন উমাইয়া। জানান, ইউজিসি-কে এ বিষয়ে সবিস্তারে জানিয়ে একটি মেল করেছেন।যদি ইউজিসি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনও উত্তর না দেয় তা হলে আইনের সাহায্যও নেবেন বলে জানিয়েছেন উমাইয়া।

হিজাব পরার জন্য বোনকে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উমাইয়ার দাদা মহম্মদ জাহিদ আফজল। তিনি বলেন, “এটা শুধু উমাইয়ার ক্ষেত্রে ঘটেছে এমনটা নয়, আরও অনেক মুসলিম মেয়ের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছে। উচ্চশিক্ষার দিক থেকে মুসলিমরা যেখানে পিছিয়ে, এমন সুযোগ পাওয়ার পরেও তাঁদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।” জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিরুল হাসান আনসারি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। শিক্ষা এবং পরীক্ষায় বসা ছাত্রছাত্রীদের অধিকার। কোনও বিশেষ ধর্মের বলে ছাত্রছাত্রীদের সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না।”

আরও পড়ুন: সমুদ্রগর্ভে অগ্ন্যুৎপাতের জেরে সুনামি, ইন্দোনেশিয়ায় মৃত কমপক্ষে ১৬৮

গত ১৮ ডিসেম্বর ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটে গোয়ার পানাজিমে। হিজাব পরে যাওয়ায় সাফিনা খান নামে এক ছাত্রীকে নেট পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সাফিনার অভিযোগ ছিল, পরীক্ষার হলে ঢোকার পরই তাঁকে হিজাব সরাতে বলেন পর্যবেক্ষক। কিন্তু তিনি হিজাব খুলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। আর তার পরই তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দিতে অস্বীকার করেন পর্যবেক্ষকরা।

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন