ইডেন গার্ডেন্সে শনিবারের ভারত-পাকিস্তান মেগাম্যাচ দেখতে এসেছিলেন ভারতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত। শনিবারের ইডেন তাঁকে খুশি করতে পারেনি। রবিবার সপরিবার দিল্লি ফেরার সময়েও বিপত্তিতে পড়ে গেলেন তিনি। সন্ধ্যায় এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বিমানে ওঠেন পাক দূত এবং তাঁর স্বজনেরা। বিমানটি গড়াতেও শুরু করেছিল। কিন্তু কিছুটা গড়িয়ে পাইলট বাঁ দিকের ইঞ্জিনে গোলযোগ টের পান। তিনি বিমান ফিরিয়ে আনেন টার্মিনালে। বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে বাসিত-সহ ২৩৮ জন যাত্রীকেই নেমে আসতে হয়।
ড্রিমলাইনার বিমানের যখন-তখন যান্ত্রিক গোলযোগ এয়ার ইন্ডিয়ার লাগাতার মাথাব্যথা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বপ্নের ওই বিমানে টিকিটের দাম অনেক বেশি। আবার ঝামেলাও বেশি। মাঝেমধ্যেই বিগড়ে যায় ড্রিমলাইনার। তার উপরে আছে বিশেষ প্রশিক্ষিত সেবিকার অভাবের মতো সমস্যা। সব মিলিয়ে দেশের যাত্রীদের তো বটেই, ঝামেলায় পড়তে হয় বিদেশযাত্রীদেরও। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এ দিন বিমানবন্দরে প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে অন্য একটি বিমানে বাসিত-সহ ৫২ জন যাত্রী দিল্লি চলে যান। সন্ধ্যায় অবশ্য এয়ার ইন্ডিয়ার বেঙ্গালুরু উড়ানে নির্বিঘ্নে ওই শহরে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। পাকিস্তানি ক্রিকেট দল সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানেই দিল্লি পৌঁছে যায়।