মেঘালয়ে ধনকুবের সেই প্রার্থী গাইতলাং ধার। ছবি: সংগৃহীত।
গত পাঁচ বছরে তাঁর গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ৬টি। নোট বাতিল-সহ বিভিন্ন প্রতিকূলতার পরেও সম্পদ বেড়েছে ‘মাত্র’ ৫৫ কোটি টাকা। নিজের নজির অক্ষুণ্ণ রেখে এ বার মেঘালয় বিধানসভা ভোটেও রাজ্যের ধনীতম প্রার্থী উমরয়ের সেই গাইতলাং ধার। আর্থিক অনটনে স্কুলের গণ্ডীও পার হতে পারেননি। এইট পাশ করেই নেমে পড়েন রোজগারের ধান্দায়। এখন এই ‘ব্যবসায়ী’ প্রার্থীর ২৯০ কোটির সম্পদ। ১২১টি ট্রাক-সহ তাঁর গাড়ির সংখ্যা ১৪৪। এ হেন প্রার্থী এ বার কংগ্রেস ছেড়ে এনপিপির হয়ে লড়তে নেমেছেন। তাঁর ভাই স্নিয়াওভালাং ধার ছিলেন মুকুল সাংমা মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনিও দাদার মতোই কংগ্রেস ছেড়ে এনপিপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি লড়ছেন নরটিয়াং থেকে।
মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে ধারের জমা দেওয়া হলফনামা বলছে: ৪৯ বছর বয়সী ওই ব্যবসায়ী ১৪৪টি গাড়ির মধ্যে ১২১টি ট্রাক। আছে মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ-এর মতো অভিজাত গাড়িও। জেসিবি, পিক আপ ভ্যান ও অন্য গাড়ি মিলিয়ে ধারের গ্যারাজ উত্তর-পূর্বের বৃহত্তম। গত বারের হলফনামায় ধারের সম্পদ ছিল ২৩৫ কোটির। গাড়ি ছিল ১৩৭টি। তাঁর স্ত্রীর সম্পদ অবশ্য অনেকটাই কম, সব মিলিয়ে ৫ কোটির কাছাকাছি।
ধারের ছেলে ডাসাখিয়াত লামায়ারও এ বার মাওহাটি থেকে এনপিপি-র টিকিটেই লড়তে নেমেছেন। ২৫ বছর বয়সেই তাঁর নামে রয়েছে ৪০ কোটি টাকার সম্পদ। বিএমডব্লিউ, বিদেশি এসইউভি-সহ তাঁর গাড়ির সংখ্যা ১৫। বরং মন্ত্রী থেকেও তুলনায় অনেক পিছিয়ে ভাই স্নিয়াওভালাং। তাঁর সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৩ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা।
মেঘালয়ের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ও তাঁর বিধায়ক-স্ত্রী ডিকাঞ্চি শিরা দু’জনই কোটিপতি। পাঁচ বছর আগে মুকুলের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। ডিকাঞ্চির সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা। গত পাঁচ বছরে তাঁদের সম্পত্তি যথাক্রমে ১.৩৭ কোটি ও ২.০৩ কোটি টাকা বেড়েছে।