মানুষের আস্থা ফেরান, নির্দেশ মেহবুবার

নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরের মানুষের মনে আস্থা জাগাতে পারছে না বলে সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর মতে, উল্টে মানুষের মনে বাহিনী তথা প্রশাসনের প্রতি বিদ্বেষ বাড়ছে। সংযুক্ত কম্যান্ডের বৈঠকে আজ বাহিনী ও প্রশাসনকে মানুষের মন থেকে আতঙ্ক কাটাতে উদ্যোগী হতে বলেছেন মেহবুবা।

Advertisement

সাবির ইবন ইউসুফ

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:০৭
Share:

নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরের মানুষের মনে আস্থা জাগাতে পারছে না বলে সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর মতে, উল্টে মানুষের মনে বাহিনী তথা প্রশাসনের প্রতি বিদ্বেষ বাড়ছে। সংযুক্ত কম্যান্ডের বৈঠকে আজ বাহিনী ও প্রশাসনকে মানুষের মন থেকে আতঙ্ক কাটাতে উদ্যোগী হতে বলেছেন মেহবুবা।

Advertisement

কাশ্মীরে সংযুক্ত কম্যান্ডের চেয়ারপার্সন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সেই কম্যান্ডের জরুরি বৈঠকে হাজির ছিলেন পুলিশ-প্রশাসনের প্রায় সব শীর্ষ কর্তা ও সেনার নর্দার্ন কম্যান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল দেবরাজ আনবু। ওই বৈঠকে কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর সমস্ত দিক নিয়ে আলোচনা হয়। জঙ্গি দমন অভিযানের সময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতে ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করতে বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে শ্রীনগরে ভোটের দিন সেনার জিপে স্থানীয় যুবককে বেঁধে ঘোরানোর প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।

সেনার তরফে জানানো হয়, পাথর ছো়ড়া বন্ধ করতে সে দিন ওই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিলেন সেনা অফিসার। তবে ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। সেই তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশও এফআইআর করেছে। তাদের সঙ্গেও সহযোগিতা করবে সেনা। সেনা কর্তা দেবরাজ আনবু জানান, ‘সদ্ভাবনা’ অভিযানের অধীনে উপত্যকার নানা অংশে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সেনা। বস্তুত আজই উত্তর কাশ্মীরের বারামুলায় সেনা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বলিউডের অভিনেত্রী দিয়া মির্জা ও প্রাক্তন ক্রিকেটার ও রাজনীতিক মহম্মদ আজহারউদ্দিন। কাশ্মীরিদের সেনায় নিয়োগের জন্যও নিয়মিত শিবির খোলা হচ্ছে।

Advertisement

তরুণরা বেশ কিছু দিন ধরেই পথে নামছে পাকিস্তান ও আইএসের পতাকা হাতে। পাথর ছুড়ছে নিরাপত্তা রক্ষীদের দিকে। ভোট পড়ছে কম, রক্ত ঝরছে বেশি। গত কালও খুন হয়েছেন পিডিপি-র এক নেতা। গত কালের হরতালে কাশ্মীরি মেয়েরাও যে ভাবে পথে নেমেছে তাতেও অশনি সঙ্কেত দেখছে রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ছাত্র-ছাত্রী-সহ সাধারণ নাগরিকেরা যে ভাবে পথে নামছে তা কী ভাবে রোখা যায়, এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। নাগরিকদের ক্ষোভ সামলাতে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ারও দাবি ওঠে বৈঠকে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা, রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশকর্মীদের পরিবারের উপরে হামলার ঘটনা কী ভাবে রোখা সম্ভব হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন