Farmer's March

নেপথ্যে কারা

সিপিএমের কৃষক সভার ‘লং মার্চ’-এর চাপের মুখে মাথা নোয়াতে বাধ্য হল মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার। এই মহামিছিলের নেপথ্যে ছিলেন কারা?

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৮ ২১:২৩
Share:

আজাদ ময়দানে কৃষকদের সমাবেশ। ছবি:পিটিআই।

মহারাষ্ট্রে কৃষকদের মহামিছিলে নেতৃত্বে ছিল সিপিএমের কৃষকসভা। তীব্র গরম আর পথের কষ্টকে উড়িয়ে ছ’দিনে দুশো কিলোমিটার হেঁটে এসে প্রতিশ্রুতি মিলল— পূরণ হবে সব দাবি। সময় লাগবে ছ’মাস। সিপিএমের কৃষক সভার ‘লং মার্চ’-এর চাপের মুখে মাথা নোয়াতে বাধ্য হল মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার। এই মহামিছিলের নেপথ্যে ছিলেন কারা?

Advertisement

অশোক দবলে
সভাপতি

বম্বে মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সময় থেকে এসএফআইয়ে। বম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ করে পুরোপুরি রাজনীতিতে। কৃষক নেত্রী কৃষ্ণা খোপকার, আদিবাসী নেতা এল বি ধাঙ্গরের প্রভাবে কৃষক আন্দোলনে যোগ। গোটা লং মার্চে হেঁটেছেন কৃষকদের সঙ্গে। ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধের কথা ভেবে মাঝরাতে পদযাত্রা করে মুম্বইয়ে ঢোকার ভাবনাও তাঁরই।

Advertisement

বিজু কৃষ্ণন
যুগ্ম-সচিব

বাবা কৃষিবিজ্ঞানী। চেয়েছিলেন, ছেলে শিক্ষকতা করুক। সঙ্গে সামাজিক কাজ করতেই পারে। জেএনইউয়ে ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন এসএফআই নেতা বিজু। নিজের কলেজ, বেঙ্গালুরুর সেন্ট জোসেফ কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন ৪ বছর। জেএনইউয়ে ডাক পেয়েও ইন্টারভিউয়ে যাননি। হোল-টাইমার হয়ে যান। তেলঙ্গানা, কর্নাটকেও একাধিক ‘লং মার্চ’-এ নেতৃত্ব দিয়েছেন।

কিষাণ গুজর
মহারাষ্ট্র রাজ্য সভাপতি

নিজে কৃষক। চুপচাপ কাজ করেন। সামনে আসেন না। কিন্তু সংগঠনের খুঁটিনাটি হাতের মুঠোয়। প্রায় ৪০ হাজার কৃষক জড়ো করে ফেলার পিছনে তিনিই প্রধান উদ্যোক্তা।

হান্নান মোল্লা
সাধারণ সম্পাদক

ক’দিন আগে নিউমোনিয়ায় পড়েছিলেন। বিছানায় শুয়েই প্রস্তুতিতে নজরদারি চালিয়েছেন। দিল্লির পলিটব্যুরো সদস্যদের মধ্যে সব থেকে পরিশ্রমী বলে পরিচিত। ‘গ্ল্যামার’ নেই বলে প্রচারের আলো পান না, অভিযোগ এমনই। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র— একের পর এক রাজ্যে আন্দোলন গড়ে তোলার প্রধান মস্তিষ্ক।

অজিত নবলে
মহারাষ্ট্রের রাজ্য সম্পাদক

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। নাশিক থেকে মিছিলের পুরোভাগে। মহারাষ্ট্রে কৃষকসভা তৈরি ১৯৪৫-এ। প্রথম সভাপতি ভুভা নবলে। তাঁরই নাতি অজিত। ঠাকুরদার কাজকর্ম সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানতেন না। ট্রেনে এক দিন অশোক দবলের সঙ্গে দেখা। ঠাকুরদাকে নতুন করে আবিষ্কার। এর পরই চিকিৎসা ছেড়ে রাজনীতিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন