যুদ্ধের নায়কদের মধ্যে লিওনেল মেসির ভক্তের সংখ্যাই ভূস্বর্গে সবচেয়ে বেশি। ফাইল চিত্র।
জঙ্গি-বাহিনী সংঘর্ষ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে গভীর আগ্রহ নিয়ে এক বিশ্বযুদ্ধের উপরে নজর রেখেছিল কাশ্মীর। সেই যুদ্ধের নায়কদের মধ্যে লিওনেল মেসির ভক্তের সংখ্যাই ভূস্বর্গে সবচেয়ে বেশি।
খেলার মধ্যে ফুটবল কাশ্মীরে বিশেষ জনপ্রিয়। তবে প্রবীণেরা জানাচ্ছেন, এই প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে এত বেশি আগ্রহ দেখা গিয়েছে উপত্যকায়। আর্জেন্টিনা হেরে যাওয়ায় প্রবল হতাশ উপত্যকায় মেসির ভক্তেরা। ‘‘প্রথম দিন থেকেই আমরা মেসির দলের জয় চাইছিলাম। কিন্তু ঈশ্বর আমাদের কথা শুনলেন না। আমার ছেলে এখনও মেসির ছবি আঁকা টি-শার্ট পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে,’’ বলছেন কাশ্মীর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক আরশাদ মেহরা।
মেসিকে সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার বলে মনে করেন উপত্যকার প্রবীণ ফুটবলার ইমতিয়াজ গুরু। তাঁর মতে, কয়েকটি ম্যাচে খুবই ভাল খেলেছেন মেসি। কিন্তু
প্রত্যাশিত সংখ্যাক গোল করতে পারেননি। জাতীয় স্তরের ফুটবলে জম্মু-কাশ্মীরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ইকবাল খান্ডে। তিনি আবার পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ভক্ত। পর্তুগাল বিদায় নেওয়ায় আর খেলা দেখবেন কি না ভাবছেন।
উপত্যকার বাচ্চা-বুড়ো কিন্তু এক বাক্যে একটা কথা বলছেন। সেটা হল, কাশ্মীরের নয়া প্রজন্মের অনেকেই ফুটবলে আগ্রহী। কিন্তু উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে তাদের খেলা আর বেশি দূর এগোয় না। ভারত সরকার ক্রিকেটের উপরেই বেশি গুরুত্ব দেয়। মেসির তরুণ ভক্ত মোজামের কথায়, ‘‘ফুটবল হচ্ছে রাজকীয় খেলা। ক্রিকেটের সঙ্গে তার তুলনাই হয় না।’’ ব্যবসায়ী ও ফুটবলভক্ত ফয়জল জারগারের মতে, ফুটবলকে উপযুক্ত গুরুত্ব দিলে কাশ্মীর থেকে একাধিক ভাল খেলোয়াড় পেতে পারে ভারত।