জাটিঙ্গা, উমরাংশুতে পরিযায়ী অতিথিরা আসতে শুরু করেছে

বর্ষা শেষ হতে না হতেই জাটিঙ্গা ও উমরাংশুতে পরিযায়ী পাখির আসা-যাওয়া শুরু হয়ে গেল। আর সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে পর্যটকদের আশা যাওয়াও।

Advertisement

বিপ্লব দেব

হাফলং শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৬ ০২:৫৪
Share:

বর্ষা শেষ হতে না হতেই জাটিঙ্গা ও উমরাংশুতে পরিযায়ী পাখির আসা-যাওয়া শুরু হয়ে গেল। আর সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে পর্যটকদের আশা যাওয়াও।

Advertisement

প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত অসমের ডিমা হাসাও জেলার জাটিঙ্গা ও উমরাংশুতে দেশ-বিদেশ থেকে পরিযায়ী পাখি ও মঙ্গোলিয়া থেকে আমুর ফ্যালকন বাজপাখি আসতে শুরু করে। নাগাল্যান্ডের পাংতির ধাঁচেই গত বছর থেকে উমরাংশুতেও ‘আমুর ফ্যালকন উৎসব’ শুরু হয়েছে। এবারও উমরাংশুতে এই উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

এ দিকে, অগস্টের শেষ দিকেই জাটিঙ্গাতে পাখি আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। ঝিরঝির বৃষ্টি, ঘন শিশির ও আলোর রশ্মিতে বেয়ে পাখি নেমে আসে জাটিঙ্গায়। আর তা দেখতেই প্রতি বছর দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় করেন। ডিএফও রাজীব বরুয়া জানান, জাটিঙ্গা ও উমরাংশুর পরিযায়ী পাখিদের সুরক্ষায় বন দফতর তৎপর হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে পাখি না মারে সে কারণে বনকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় যুবকদেরও পক্ষী-রক্ষার দায়িত্বে রাখা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বনরক্ষীদের টহলদারি। রাজীববাবু বলেন, বন দফতর ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাখি না মারার জন্য গ্রামবাসীদের বোঝাচ্ছে। তাঁদের সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মশালা ও সচেতনতা সভা করা হয়েছে।

Advertisement

এরই পাশাপাশি, ডিএফও জানান, পাখি আসার সময় হলেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাটিঙ্গা ও উমরাংশুর সংরক্ষিত ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। গ্রামবাসীদের সহায়তা, সংরক্ষিত এলাকায় বনরক্ষীদের তৎপরতায় পাখি মারার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে বলে ডিএফও জানান। এ দিকে, জাটিঙ্গাতে পর্যটকদের থাকার জন্য বনবিভাগ একটি পর্যটক আবাস তৈরি করছে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর, যখন পরিযায়ী পাখিরা আসতে থাকে তখন সেই দৃশ্য দেখতে রাতে অনেকে জাটিঙ্গাতে ভিড়

করেন। বর্তমানে জাটিঙ্গাতে পর্যটন বিভাগের অতিথিশালা রয়েছে। সেখানে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। বন বিভাগের ওই বাংলো তৈরি হয়ে গেলে আরও বেশি পর্যটক রাত্রিবাস করতে পারবেন বলে ডিএফও জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন