পানীয় জল ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্ট মন্ত্রী

হাইলাকান্দির মানুষের পানীয়জলের কষ্ট সরেজমিনে দেখার পর নিজের অসন্থোষ ব্যক্ত করলেন অসমের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী রিহন দৈমারি। শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি কোন রাখঢাক না করেই বলেন, ‘‘জেলার বহু পানীয়জল প্রকল্প অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:০২
Share:

হাইলাকান্দির মানুষের পানীয়জলের কষ্ট সরেজমিনে দেখার পর নিজের অসন্থোষ ব্যক্ত করলেন অসমের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী রিহন দৈমারি। শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি কোন রাখঢাক না করেই বলেন, ‘‘জেলার বহু পানীয়জল প্রকল্প অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এগুলি দ্রুত মেরামত করে চালু করা হবে।’’

Advertisement

শুক্রবার সকালেই দৈমারি একদিনের হাইলাকান্দি সফরে আসেন। প্রথমে তিনি বিভাগের কার্যালয়ে গিয়ে বিভাগীয় অফিসার, কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। পর তিনি চন্ডিপুর এলাকায় অর্ধনির্মিত মেগা জলপ্রকল্প পরিদর্শন করেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও কয়েকটি অকেজো জলপ্রকল্পও ঘুরে দেখেন। সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিনি যে সন্তুষ্ট নন তা তিনি সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন। মেগা জলপ্রকল্পের কাজ কেন থমকে আছে তার খতিয়ে দেখতে তিনি তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দেন। অফিসার, কর্মী সকলকেই তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ‘‘সরকার পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং কর্মীদেরও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে কাজ করতে হবে। আগের মতো চললে হবে না, কাজে পরিবর্তন আনতে হবে।’’

এদিন জেলা বিজেপি, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি-সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা রিহন দৈমারির সঙ্গে দেখা করে জেলার পানীয়জল সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানান। সংশ্লিষ্ট বিভাগের বেহাল দশা সম্পর্কেও মন্ত্রীকে অবহিত করেন। বিভাগীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী জানিয়ে দেন, প্রত্যেক সরকারি কর্মী-অফিসারকে তাঁদের কর্মক্ষেত্রে থেকেই কাজ করতে হবে। ডেলি প্যাসেঞ্জারি করা চলবে না। হাইলাকান্দির দুই বিধায়ক নিজামুদ্দিন চৌধুরী এবং সুজামুদ্দিন লস্কর এবং জেলাশাসক মলয় বরা-সহ অন্যান্য অফিসারদের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা করেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন