স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরে ফতিমা। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ ছাত্র নজীব অহমদকে ঘিরে ছাত্র-বিক্ষোভ অব্যাহত। এর মধ্যেই নজীবের মা ফতিমা নাফিজ আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করেন। ৬ নভেম্বর ইন্ডিয়া গেটের সামনে নজীবের মা ও জেএনইউ-র অন্য ছাত্রীদের সঙ্গে পুলিশি দুর্ব্যবহারের নিন্দায় মুখর সোশ্যাল মিডিয়া। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্র-নেতা কানহাইয়া কুমারও। অন্য দিকে পুলিশের দাবি, নজীবকে খুঁজে বার করার সব রকম চেষ্টাই তারা করছে। ১৪ অক্টোবর রাতের পর থেকে জেএনইউয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র নজীবের নিখোঁজ। অভিযোগ, ওই দিন আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র সদস্যদের হাতে মার খান নজীব। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন নজীবের মা। সঙ্গে ছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা ও বদায়ুঁর সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব। সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্যক্তিগত ভাবে তদন্তের খোঁজ রাখছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। নজীবের মায়ের পাশাপাশি ৬ নভেম্বরের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে আরও একটি ছবি। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জেএনইউ-র এক ছাত্রীকে অশালীন ভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে এক পুলিশকর্মী। সেই ছবি দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল টুইট করে লিখেছেন, ‘‘কী করে এক জন ছাত্রীকে এমন ভাবে হেনস্থা করে দিল্লি পুলিশ?’’ অবিলম্বে ওই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করার আর্জিও জানান তিনি। দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে একটি নোটিসও পাঠিয়েছে মহিলা কমিশন। ওই পুলিশকর্মীর দুর্ব্যবহার নিয়ে জবাব চেয়েছে তারা।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরকারকে তোপ দেগেছেন ছাত্র-নেতা কানহাইয়া কুমারও। তাঁর লেখা বই ‘ফ্রম বিহার টু তিহাড়’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কানহাইয়া বলেন, ‘‘ওদের এত পুলিশ যে জেএনইউতে ক’টা কন্ডোম ব্যবহার হয় তা গুণতে পারে। আর এত দিন ধরে নজীব কোথায় আছে তা খুঁজে বার করতে পারে না।’’
অন্য দিকে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ-পশ্চিম) দীপেন্দ্র পাঠক আজ জানান, আটটি বিশেষ দল নিখোঁজ নজীবের তদন্ত করছে। অহমদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কেও তাদের জানানো হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।