বিয়ে হোক বা ছেলের অন্নপ্রাশন, বিহারে লাখ তিনেক টাকা খরচ করলেই পাওয়া যাচ্ছে মন্ত্রী বা বিধায়কের সরকারি বাংলো।
এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে বিহার প্রশাসন। এমন ‘কোঠি-মালিক’ মন্ত্রী বা বিধায়কদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সেই তালিকা ভবন নির্মাণ দফতরে পাঠানো হবে। যা ব্যবস্থা নেওয়ার তারাই নেবে। এই দফতরের মন্ত্রী রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
আর অভিযোগের আঙুল আরজেডির দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী আব্দুল গফুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের বাংলোর লন বিয়ে ও সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেন তিনি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার মাধ্যমে ভাড়া দেওয়া হয়। বাংলোর ভিতরে সমস্ত রকমের সুবিধা হয়েছে। পাত্র-পাত্রীর জন্য ‘এসি প্রিমিয়াম রুম’ থেকে বরযাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা, সবই আছে গফুর সাহেবের বাংলোয়। তবে ভাড়া দেওয়ার কথা অস্বীকার করছেন তিনি। গফুর সাহেবের বাংলোর নিরাপত্তারক্ষীরা অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন।
একই ভাবে বাংলো ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী শিবচন্দ্র রামের বিরুদ্ধেও। তাঁর বাংলোয় আজও অনুষ্ঠান ছিল। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমরা রাজনৈতিক লোক। যদি বাংলোর খালি জায়গা নিজেদের লোকজনকে বিয়ের জন্য ছেড়ে দিয়ে থাকি, তবে তাতে অন্যায়টা কী আছে?’’ এর জন্য কোনও টাকা তিনি নেননি বলেই দাবি করেছেন শিবচন্দ্রবাবু।
বিজেপি নেতা সুশীল মোদী গোটা বিষয়টি নিয়ে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দিকে। তাঁর দাবি, ‘‘মন্ত্রী-বিধায়করা নিজেদের সরকারি বাংলো ভাড়া দিচ্ছেন, সে খবর কী মুখ্যমন্ত্রী জানেন না? জানলে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? এমন বিয়েতে তো প্রায়ই তিনি আমন্ত্রিত হিসেবে যান।’’ বিজেপি নেতা সুশীল মোদী গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘মন্ত্রী-বিধায়কেরা নিজেদের সরকারি আবাসন ভাড়াতে দিচ্ছেন তা কি মুখ্যমন্ত্রী জানেন না? জানলে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? এমন বিয়েতে প্রায়ই তো যান তিনি। আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’