প্রচারে অখিলেশ। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক অরুণ বর্মা ও অন্য কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন যিনি, খুন হলেন সেই তরুণী। রাজ্যে ভোট চলাকালীন এক ধর্ষিতার হত্যার ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় সপা নেতার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।
ওই তরুণী (২২) শনিবার থেকে নিখোঁজে ছিলেন। রবিবার সুলতানপুর এলাকার একটি প্রাইমারি স্কুলের কাছে তাঁর দেহ মিলেছে। গলায় ক্ষত দেখে পুলিশের সন্দেহ, মহিলাকে খুন করা হয়েছে শ্বাসরোধ করেই। ধর্ষিতার মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেননা, অভিযুক্ত সপা নেতা সুলতানপুরে দলের প্রার্থী হয়েছেন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের থেকে আক্রমণ আসার আগেই অখিলেশ ঘোষণা করেন, মৃতার পরিবার যেমন চাইবেন, তেমন ভাবেই তদন্ত করাতে রাজি আছেন তিনি।
তরুণীর অভিযোগ ছিল, ২০১৬ সালে কয়েক জন সঙ্গী নিয়ে সপার বিধায়ক অরুণ বর্মা ধর্ষণ করে তাঁকে। তবে এক সময় তিনি সপা-র ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারও করেছিলেন। গণধর্ষণের মামলা হলেও নিখোঁজ তরুণীর মৃত্যুর পরে পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করেছে অভিযুক্ত বিধায়কের বিরুদ্ধে। তবে এই ঘটনাকে তাঁর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে অরুণ বর্মা জানান, সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতেও রাজি আছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশে ভোট চলাকালীন ধর্ষিতার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে অখিলেশকে। গত কালই অখিলেশ মোদীকে ‘কাম কি বাত’ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশে ভোটের প্রচারে গিয়ে মোদী আজ সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কাজের বড়াই করছেন। আর উত্তরপ্রদেশে অপহরণ, ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব আজ ছিলেন বদায়ুঁতে। ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। সুলতানপুরের ঘটনা নিয়ে অখিলেশকে আক্রমণ করে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক শ্রীকান্ত শর্মা মন্তব্য করেছেন, ‘‘বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনার পরে কোনও মহিলার হত্যার ঘটনা লজ্জাজনক। রাজ্য সরকার অভিযুক্তকে বাঁচানোর যাবতীয় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।’’
সুলতানপুরের সঙ্গে বুলন্দশহরের ধর্ষণ প্রসঙ্গেও এ দিন বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে সপা। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী প্রচারে বুলন্দশহর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।