টাকায় আশায়। বন্ধ এটিএমের সামনে ভিড়। বুধবার করিমগঞ্জে। — উত্তম মুহরী
নোট বদলের দুর্ভোগ মেটাতে আজ মোবাইল এটিএম পথে নামাল স্টেট ব্যাঙ্ক। এ দিন আপাতত একটি গাড়ি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলির সামনে দাঁড়িয়ে খুচরো নোট বিলি করে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রয়োজনে গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
এ দিন অবশ্য নতুন করে কয়েকটি এটিএম খোলে। ৯ নভেম্বর দু’দিনের জন্য বন্ধ করা হলে সেগুলি আর খোলা হয়নি। এর মধ্যে কয়েকটিতে ২ হাজার টাকার নোট ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে অন্য দিন টাকা মিলেছে যে সব এটিএমে, সেগুলির একাংশ এ দিন বন্ধ ছিল।
ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক কর্তাদেরও দাবি, বন্ধ থাকা এটিএমগুলি ধীরে ধীরে খোলা হচ্ছে। এটিএম খুললেও ২ হাজার টাকার নোটে যে সমস্যা মিটবে না, তাঁরা তা জানান। ছোট নোট তাঁদের চেস্টে নেই বললেই চলে।
২ হাজার টাকার প্রচুর নোট মূলত ব্যাঙ্ক কাউন্টারগুলির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু ওই টাকা খুচরো করতে গিয়ে মুশকিলে পড়ছেন মানুষ। ফলে ব্যবহার করা যাচ্ছে না অধিকাংশ নোট। এ দিকে, পুরনো ৫০০ ও ১ হাজার নোট গ্রহণের জেরে বিদ্যুতের বকেয়া আদায় প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার নিরঞ্জন পাল জানিয়েছেন, ৯ তারিখ থেকে মাত্র ১ সপ্তাহে শিলচরের ১ নম্বর ডিভিশন ২ কোটি ৩৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৭৬ টাকা আদায় করতে সমর্থ হয়েছেন। এর বড় অংশ দীর্ঘদিন থেকে বকেয়া হিসেবে পড়েছিল। তিনি জানান, ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাতিল নোট তাঁরা গ্রহণ করবেন। ফলে আরও অনেক বকেয়া টাকা তোলা যাবে।
খুচরো টাকার অভাবে ছোট ব্যবসায়ী, শ্রমজীবীরা সমস্যায় পড়েছেন। করিমগঞ্জের কয়েকটি ব্যাঙ্কে ২ হাজার টাকার নোট এলেও নেই খুচরো টাকা। এটিএমের সামনে ভিড় জমলেও মিলছে না টাকা।
করিমগঞ্জ শহরের অধিকাংশ ব্যাঙ্ক পুরনো টাকা বদলে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কোনও কোনও ব্যাঙ্ক ৪ হাজার টাকার বদলে ১ হাজার টাকার খুচরো দিচ্ছে। সরকারি নির্দেশ মেনে আঙুলে কালি লাগানো হবে। কিন্তু গ্রাহকদের বক্তব্য, ৪ হাজারের বদলে ১ হাজার টাকা দিয়ে কালি লাগানো ঠিক নয়। কারণ হাতে কালি থাকলে পরে অনেক ব্যাঙ্ক টাকা বদল করে দেবে না। সে ক্ষেত্রে ভুগতে হবে গ্রাহকদের।