কর্মসমিতিতে মমতাকে নিশানা মোদী-অমিতের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বিজেপি নেতৃত্ব যে আদৌ মমতাময় নন, আজ বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকেই সেটাই স্পষ্ট করে দিলেন নেতারা। নাগরিক পঞ্জি নিয়ে অমিত শাহ আজ ফের মমতার নাম করে আক্রমণ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪২
Share:

মমতার সঙ্গে সমতা।

Advertisement

এক দিকে উচ্চবর্ণ, অন্য দিকে তফসিলি জাতিদের ক্ষোভ সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী যখন উন্নয়নের মোড়কে সকলকে শামিল করার কথা বলছেন, হঠাৎই তাঁর মুখে এমন এক মন্তব্যে হাসির রোল উঠল। নরেন্দ্র মোদী বললেন, ‘‘মানবিকতার সঙ্গে উন্নয়ন করতে হবে। সমতা আনতে হবে মমতার সঙ্গে।’’

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বিজেপি নেতৃত্ব যে আদৌ মমতাময় নন, আজ বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকেই সেটাই স্পষ্ট করে দিলেন নেতারা। নাগরিক পঞ্জি নিয়ে অমিত শাহ আজ ফের মমতার নাম করে আক্রমণ করেন।

Advertisement

অমিত বলেছেন, ‘‘কেউ কেউ নাগরিক পঞ্জির বিরোধিতা করছেন, এটা নিন্দাজনক।’’ আজই একটি প্রস্তাব পেশ করে বিজেপি বলেছে, এই দেশকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপদ ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। তাঁদের চিহ্নিত করে নির্বাসিত করা হবে। অনেকেই মনে করছেন, নাগরিক পঞ্জির বিষয়কে সামনে রেখে আসলে মেরুকরণের রাজনীতি করতেচাইছে বিজেপি।

পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের চিহ্নিতকরণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিন আগেই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিজি বলেছিলেন, অন্য প্রান্ত থেকে তাড়া খাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি পশ্চিমবঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নেওয়া হচ্ছে।

বাংলার পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ মোদী-শাহের সামনেই বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। বিজেপির ৩০ জন কর্মীকে হত্যা হয়েছে।’’ রাজ্যে সংগঠনের কাজের ‘বিস্তারক যোজনা’রও রিপোর্ট দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীও বাংলার মেজাজ বোঝাতে উল্লেখ করেন তাঁর মেদিনীপুরের সভার। বলেন, ‘‘মেদিনীপুরে প্যান্ডেল ভেঙে পড়লেও মানুষ সরেননি। এতেই মানুষের মেজাজ বোঝা যাচ্ছে।’’ তিনি বুঝিয়ে দেন, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিয়ে ক্ষুব্ধ। বিজেপির দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তারা।

বিজেপির এক নেতা বলেন, গত কালই অমিত দাবি করেছেন বাংলায় দ্বিতীয় স্থানে আসার সুবাদে অনায়াসে প্রথম স্থান দখল করা সম্ভব। লোকসভা ভোট কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আওতায় হবে।বাংলায় এখনও সংগঠনের অনেকটা দুর্বলতা থাকলেও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেখানে বিজেপির পতাকা ওড়াতে বদ্ধপরিকর। চলতি সপ্তাহে রাজ্য কমিটির বৈঠকে দলের চারটি যাত্রা ও সংগঠনের অন্য বিষয়ে সবিস্তার আলোচনা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন