নরেন্দ্র মোদীর প্রিয়পাত্রী কখনোই ছিলেন না সুষমা স্বরাজ। বিজেপি’র অভ্যন্তরীণ সমীকরণে মোদী বিরোধী বলে পরিচিত সুষমার প্রশংসা এত দিন তেমন শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর মুখে। কিন্তু, শুক্রবার সকাল থেকে সুষমা সম্পর্কে বিশেষণে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট।
অনবদ্য! যথাযথ! অসাধারণ!
একের পর এক টুইট করে এ ভাবেই প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানালেন বিদেশমন্ত্রীকে। উচ্ছ্বসিত মোদীর মন্তব্য, গোটা বিশ্বের সামনে যথাযথ ভাবে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেছেন সুষমা।
রাষ্ট্রপুঞ্জে সুষমার ভাষণ শেষ হতেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করেন। তার পরই টুইটারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখনই সুষমাজি’র সঙ্গে কথা হল। অনবদ্য ভাষণের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানালাম। গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলি তিনি যথাযথ ভাবে তুলে ধরেছেন।”
এর কিছু পরেই আবার টুইট করেন মোদী। এবার তিনি লেখেন, “বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের অবদান খুব ভাল ভাবে তুলে ধরেছেন এবং একবিংশ শতাব্দীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের চেহারা কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে দেশের দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরেছেন।” সুষমা তাঁর ভাষণে নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামো নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন, তার প্রেক্ষিতেই মোদীর এই মন্তব্য। সুষমা বলেন, গোটা বিশ্বের নানা এলাকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তি রক্ষার মিশনে ভারতের অবদান অপরিসীম। ভারত থেকে ৮০০০ নিরাপত্তা কর্মী বিশ্বের নানা প্রান্তে শান্তি রক্ষার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। কিন্তু, দুঃখের কথা হল যাঁরা গোটা বিশ্বকে শান্তি রক্ষী যোগাচ্ছে, তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় কেউ নয়।
ভাল সন্ত্রাস আর খারাপ সন্ত্রাস বলে যে কিছু হয় না, সে প্রসঙ্গে সুষমা স্বরাজের বক্তব্য সমর্থন করেও এ দিন টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সুষমা স্বরাজ অভ্রান্ত ভাবে তাঁর ভাষণে বলেছেন যে পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে হলে সব ধরনের সন্ত্রাসকে শেষ করতে হবে।”
মোদীর এই প্রশংসায় স্বাভাবিক ভাবেই উজ্জীবিত সুষমাও। ললিত মোদী কাণ্ডে সুষমার ভূমিকা সামনে আসায় যে ভাবে অপদস্থ হতে হয়েছে সরকারকে, তার পর ক্যাবিনেটে আরও কোণঠাসা অবস্থা হয়েছিল সুষমার। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা বিদেশমন্ত্রীর সেই নাজেহাল দশা কাটাল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।