ডিগ্রি বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়াল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। বিজেপির তরফে পেশ করা মোদীর বিএ ডিগ্রি আসল বলে জানিয়ে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তরুণ দাস।
মোদীর ডিগ্রি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে সরব অরবিন্দ কেজরীবাল-সহ আপ নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রীর এমএ ও বিএ ডিগ্রি নিয়ে তথ্য কমিশনে যান কেজরীবাল। বহু চাপানউতোরের পরে এমএ ডিগ্রি প্রকাশ করে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তাতে থামেননি কেজরীবাল। তিনি দাবি করেন, মোদী আদৌ বিএ পাশই করেননি।
কাল মোদীর বিএ ও এমএ ডিগ্রি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন অরুণ জেটলি ও অমিত শাহ। কিন্তু সেই
ডিগ্রিও জাল, দাবি করেন কেজরীবাল। তাঁর দাবি, দু’বছরের মার্কশিটে দু’রকম নাম রয়েছে। আজ আবার তিনি দাবি করেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোদীর স্নাতক ডিগ্রি সংক্রান্ত নথিপত্রে কাউকে হাত দিতে দেওয়া হচ্ছে না। টুইটারে তিনি দাবি করেন, ‘‘বিজেপি জাল নথি প্রকাশ করেছে। তার পরে আসল রেকর্ড সিল করিয়ে দিয়েছে।’’
কয়েক দিন ধরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোদীর ডিগ্রি খুঁজে বেড়াচ্ছেন আপের সদস্যেরা। আজও
সেখানে ছিলেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ ত্যাগী দাবি করেন, ‘‘মোদীর ডিগ্রির রেকর্ড সিল করার কোনও নির্দেশ আমি দিইনি।’’ কিছু ক্ষণ পরেই কেজরীবাল টুইট করেন, ‘‘কিন্তু উপাচার্য ডিগ্রির সত্যতা নিয়ে কোনও কথা বলছেন না।’’
আজ আসরে নামানো হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তরুণ দাসকে। তিনি জানান, মোদীর বিএ ডিগ্রিটি আসল। তিনি ১৯৭৮ সালে পাশ করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে ডিগ্রি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর এনরোলমেন্ট নম্বর ছিল সিসি৫৯৪/৭৪। পরীক্ষার সময়ে তাঁর রোলনম্বর ছিল ১৬৫৯৪। প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রিতে কিছু ভুল থাকার কথা মেনে নিয়েছেন তরুণবাবু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এমন ভুল অনেক সময়ে হয়। পরীক্ষার্থীরা জানালে ঠিক করে
দেওয়া হয়।’’