ফের বঞ্চিত বাংলা! মোদী মন্ত্রিসভায় রাজ্য থেকে মাত্র ২

লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশকে চমকে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। একে রাজ্যে ভাল ফল, উপরন্তু দু’বছর পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই রাজ্যের অন্তত চার-পাঁচ জন মন্ত্রী হতে পারেন বলে আশায় বুক বেঁধেছিল রাজ্য বিজেপি।

Advertisement

অনমিত্র সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী।

মন্ত্রিত্ব পাওয়ার প্রশ্নে শেষ পর্যন্ত বঞ্চিতই থেকে গেল বাংলা। ক’দিন ধরে বিপুল গর্জন হলেও দিনের শেষে বর্ষণ হল কই! নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় পর্বের মন্ত্রিসভায় শেষ পর্যন্ত ঠাঁই পেলেন মাত্র দু’জন! তাও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। এমনকি স্বাধীন দায়িত্বেও নয়। দু’জনের মধ্যে এক জন পুরনো মুখ, বাবুল সুপ্রিয়। অন্য জন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।

Advertisement

লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশকে চমকে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। একে রাজ্যে ভাল ফল, উপরন্তু দু’বছর পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই রাজ্যের অন্তত চার-পাঁচ জন মন্ত্রী হতে পারেন বলে আশায় বুক বেঁধেছিল রাজ্য বিজেপি। দিনের শেষে বেশ ব্যাকফুটে রাজ্য নেতারা। পাল্টা যুক্তিতে বলা হচ্ছে, গত বার মন্ত্রিসভায় ২৮-২৯ জন পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন।

এ বার সংখ্যাটা ২৫। সংখ্যার হিসেবে পূর্ণমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে মন্ত্রিসভার মোট সদস্য সংখ্যা সর্বাধিক ৮১ হতে পারে। আজ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছেন ৫৮ জন। বছর শেষে ফের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা আছে। তখন রাজ্যের কিছু সাংসদ মন্ত্রিসভায় যেতে পারেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাদ গত বারের অর্থমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, আরও যে মন্ত্রীরা জায়গা পেলেন না এ বার

পশ্চিমবঙ্গ থেকে দ্বিতীয় বার সাংসদ হওয়া বাবুল এ বার পূর্ণমন্ত্রী হবেন বলেই ধরে নিয়েছিলেন ঘনিষ্ঠরা। এ বারও প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। অন্য দিকে রায়গঞ্জে কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সি ও সিপিএমের মহম্মদ সেলিমকে হারিয়ে আসা ‘জায়ান্ট কিলার’ দেবশ্রী চৌধুরীর প্রচারে গিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, জিতলে দেবশ্রীকে মন্ত্রী করা হবে।

আজ দুপুর পর্যন্ত জল্পনা ছিল, অন্তত দু’জন পূর্ণমন্ত্রী ও দু’জন প্রতিমন্ত্রী পাবে বাংলা। বিজেপি শুরুতেই ঠিক করেছিল, গত বারের দুই প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং এস এস অহলুওয়ালিয়ার মধ্যে একজনকে মন্ত্রী করা হবে। বেলা বারোটা নাগাদ বাবুলকে ফোন করে শপথে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। সূত্রের খবর, নতুন সাংসদদের মধ্যে কাকে মন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয় দিলীপ বনাম মুকুল গোষ্ঠীর। দিলীপ নিজে মন্ত্রিত্বে রাজি ছিলেন না। আবার মুকুলকে মন্ত্রী করলে দিলীপ গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ হতে পারে, সেই আশঙ্কায় নাম কাটা যায় প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর।

দেবশ্রীর লড়াই ছিল মূলত হুগলি-জয়ী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। অমিতের প্রতিশ্রুতি এবং রাজ্য রাজনীতিতে দিলীপ গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বাজিমাত করেন দেবশ্রীই। মন্ত্রিত্বের দৌড়ে ছিলেন সুভাষ সরকার, কুনার হেমব্রমরাও। কিন্তু শুধু দেবশ্রী ও বাবুলকে বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে চা-চক্রে উপস্থিত থাকার নির্দেশ আসতেই স্পষ্ট হয়ে যায় ছবিটা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন