মেগা যজ্ঞিবাড়ির হেঁশেলে তারকা জাফরানের ডাল

রাত পোহালে কাল প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। দেশ-বিদেশের তারকা অতিথিদের জন্য হেঁশেলে তৎপরতা শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৯ ০১:৩৪
Share:

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য সেজে উঠেছে রাষ্ট্রপতি ভবন। বুধবার। ছবি: প্রেম সিংহ

৬ হাজার মান্যগণ্য অতিথি! রাষ্ট্রপতি ভবন তাই মেগা যজ্ঞিবাড়ি।

Advertisement

রাত পোহালে কাল প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। দেশ-বিদেশের তারকা অতিথিদের জন্য হেঁশেলে তৎপরতা শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকেই। গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপতি ভবনের সিগনেচার পদ ‘ডাল রাইসিনা’। কালও অতিথিদের থালায় প্রধান পদ হতে চলেছে এটি— অড়হর ডাল, টোম্যাটো পিউরির সঙ্গে জাফরান দিয়ে যা বানাতে সময় লাগে আটটি ঘণ্টা।

অতিথি বিমস্টেকভুক্ত রাষ্ট্রনেতাদের কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে রাষ্ট্রপতির হেঁশেলকে। পূর্ব এশিয়ার এই আগন্তুকদের খাদ্যাভাস ভিন্ন। তা ছাড়া সময় পার্থক্যের কারণে এখানকার রাত ন’টা তাঁদের অনেকের কাছে গভীর রাত। ‘ডাল রাইসিনা’ হজম করতে তাঁদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এই পদ রান্নার দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা শেফ মাচিন্দ্র কস্তুরে, যাঁর রান্না চেটেপুটে খেয়ে প্রশংসা করে গিয়েছিলেন বারাক ওবামাও।

Advertisement

সন্ধ্যা সাতটার ‘হাই-টি’-তে থাকছে লেমন টার্ট, হরেক রকম স্যান্ডুইচ, সামোসা এবং রাজভোগ। থাকবে লেমন করিয়েন্ডর স্যুপও। নৈশ ভোজে থাকবে নিরামিষ-আমিষ দু’ধরনের পদই। নিরামিষে প্রাধান্য থাকবে গুজরাতি খাবারের। থাকছে দক্ষিণ ভারতীয় পদও। রজনীকান্ত এবং কমল হাসন— দুই জনপ্রিয় দক্ষিণ ভারতীয় তারকার যে অনুষ্ঠানে থাকার কথা।

দরবার হলের বাইরে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে এর আগে শপথ নিয়েছেন নেহরু এবং চন্দ্রশেখর। ১৯৯৮ সালে বাজপেয়ীও বাইরেই শপথ নিয়েছিলেন। দরবার হলে মাত্র শ পাঁচেক লোক ধরে বলে অনুষ্ঠান বাইরে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৪-য় বিকেল চারটেয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। জলের যথেষ্ট বন্দোবস্ত না থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এ বারে তাই সময় পিছিয়ে সন্ধ্যা ৭টা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে জানানো হচ্ছে, এ বারে অনেক বেশি জলের বোতল রাখা হবে। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা চলতে পারে অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় শপথ হলেও সকাল থেকেই কর্মসূচি মোদীর। দিনের শুরুতে প্রথমে তিনি যাবেন রাজঘাটে গাঁধীর সমাধিতে। তার পরে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সমাধি ঘুরে শ্রদ্ধা জানাবেন জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে।

এখনও পর্যন্ত খবর, ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী অনুষ্ঠানে থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন না। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও জানিয়েছেন থাকতে পারছেন না। বিদেশি রাষ্ট্রের যে আট জন নেতা-প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা, নেপালের প্রেসিডেন্ট কে পি ওলি, তাইল্যান্ডের বিশেষ দূত গ্রিসাজা বুনার্চ। থাকবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন