বদলে দেবেন কাশ্মীর, পুঞ্চে আশ্বাস মোদীর

সার্কের তিক্ততা এ বার নেমে এল জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতেও। কাশ্মীরের নির্বাচনের শুরুতেই জঙ্গিদের লাল চোখ অগ্রাহ্য করে যে ভাবে ভোট দিয়েছেন মানুষ, তা পাকিস্তানকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। তাই ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু ও কাশ্মীরে পা রাখার আগেই সীমান্তের ওপার থেকে পাক বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৪
Share:

কাশ্মীরে নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার।—নিজস্ব চিত্র।

সার্কের তিক্ততা এ বার নেমে এল জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতেও।

Advertisement

কাশ্মীরের নির্বাচনের শুরুতেই জঙ্গিদের লাল চোখ অগ্রাহ্য করে যে ভাবে ভোট দিয়েছেন মানুষ, তা পাকিস্তানকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। তাই ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু ও কাশ্মীরে পা রাখার আগেই সীমান্তের ওপার থেকে পাক বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয়ে গিয়েছে। জঙ্গি হামলার নিশানাও করা হয়েছে রাজ্যকে।

অস্থিরতা সৃষ্টির পাক প্রয়াসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মোদী যদিও আজ তাঁর নির্বাচনী জনসভাগুলিতে উন্নয়নের পক্ষেই সওয়াল করে গিয়েছেন। চেষ্টা করেছেন দিল্লির প্রশাসকদের সঙ্গে শ্রীনগরের সম্পর্কের দীর্ঘ দিনের দূরত্ব কাটাতে। জানিয়ে দিয়েছেন, শুধুই ভোট-সফর নয়, প্রতি মাসেই এখন পা রাখেন তিনি ভূস্বর্গে।

Advertisement

সার্কের শেষ পর্বে নরেন্দ্র মোদী-নওয়াজ শরিফ আনুষ্ঠানিক করমর্দন ছাড়া কাঠমান্ডুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের বরফ আরও জমাট বেঁধেছে। আর সার্ক বৈঠক শেষে মোদী যখন কাশ্মীরে, তার আগে সক্রিয় হয়েছে পাক বাহিনী ও জঙ্গিরা। জম্মুতে মোদীর নির্বাচনী জনসভার আগে গত কাল আরারিয়ায় কাছে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ভারতীয় সেনার দু’টি বাঙ্কারে তাদের আক্রমণের পরেই ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। যাতে তিন জন গ্রামবাসী, চার জঙ্গি সহ মোট এগারো জনের মৃত্যু হয়েছে। আরারিয়া থেকে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরে উধমপুরে মোদী জনসভা করার কথা। তার আগেই গণ্ডগোল বাধানোর এই চেষ্টা। আর কূটনৈতিক স্তরে নওয়াজ শরিফের গলায়ও শোনা গিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ।

সার্ক সম্মেলন সেরে বিমানে ওঠার সময় সাংবাদিকদের পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশসচিব পর্যায়ের আলোচনা বাতিল করা উচিত হয়নি ভারতের। শরিফের কথায়, “আমরা অতীতেও ভারত-পাক বৈঠকের আগে কাশ্মীরি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি।” তাঁর যুক্তি, “কাশ্মীরি নেতাদের সঙ্গে কথা বলতেই হয়, কারণ বিষয়টা ওঁদের জন্যও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।”

এই টানাপড়েন, কূটনীতির শীতলতার ভিতরেই জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে দিল্লির নতুন সরকারের সম্পর্কের উষ্ণতা ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন মোদী। শুক্রবার পুঞ্চের জনসভায় বাপ-বেটা, বাপ-বেটির (ফারুক আবদুল্লা ও মুফতি মহম্মদ সঈদের পরিবার) শাসন থেকে রাজ্যকে মুক্তি দিয়ে বিজেপিকে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মোদীর ক্ষোভ, “পুঞ্চ থেকে দিল্লি যেতে হয়তো দু’দিন লাগে, কিন্তু দিল্লি থেকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এখানে আসতে চল্লিশ বছর লেগে গেল।” রাজ্যের মানুষের উদ্দেশে মোদীর মন্তব্য, “তিরিশ বছরে যা হয়নি, পাঁচ বছরে যদি তা যদি না করতে পারি, তা হলে আমাকে প্রশ্ন করবেন, দায়ী করবেন।” আর ভোটের হাওয়ায় ফুটে ওঠা বদলে যাওয়া কাশ্মীরের জন্য উধমপুরে দাঁড়িয়ে মোদী ধন্যবাদ দিয়েছেন মানুষকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন