মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পরে কর্নাটকে ভোটের হাওয়া গরম করে তুলতে বৃহস্পতিবার থেকেই ময়দানে নামছেন নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গাঁধী।
আগামিকালই রাহুল যাচ্ছেন কর্নাটক সফরে। সামনের সপ্তাহে যাবেন মোদী। তবে কাল সকালেই দিল্লি থেকে কর্নাটকের নেতাদের সঙ্গে ভিডিও মারফত কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটের প্রচার শেষ হতে বাকি আর মাত্র ১৫ দিন। তার মধ্যে অন্তত ১৫ টি জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, সুষমা স্বরাজ, স্মৃতি ইরানি, নির্মলা সীতারামণ থেকে হেমা মালিনী— বিজেপির অন্তত ৪০ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে নামানো হচ্ছে প্রচারে। শেষ বাজারে হিন্দুত্বের হাওয়া তুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে যোগী আদিত্যনাথকেও। তাঁকে দিয়ে ৬ দিনে প্রায় ৩৫ টি সভা করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। দিনে অন্তত ৫-৬ টি জনসভা।
এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সমীক্ষা কর্নাটকে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি, সিদ্দারামাইয়া সরকারের উন্নয়নের কাজকর্মের ফল মিলবে। মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে লিঙ্গায়েতদের স্বার্থ দেখেছেন, তাতে বাজিমাত করবে কংগ্রেসই। রাজ্যের আলাদা পতাকা নিয়ে লড়েছেন সিদ্দারামাইয়া। এর পাশাপাশি রয়েছে রাহুলের প্রচার। সব মিলিয়ে আশাবাদী কংগ্রেস।
কিন্তু বিধানসভার ফল ত্রিশঙ্কু হলে দেবগৌড়ার দল সাহায্য করতে পারে— এমন ‘গোপন’ বোঝাপড়া বিজেপির ভরসা বাড়িয়েছে। মুখে দেবগৌড়া অবশ্য বলছেন, বিজেপির সঙ্গে কোনও সমঝোতার প্রশ্নই নেই।