স্থায়ী সরকার দেব, ঝাড়খণ্ডে বার্তা মোদীর

এক ‘চায়ওয়ালার’ উপর ভরসা রাখার জন্য ঝাড়খণ্ডবাসীর কাছে আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ চাইবাসায় দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে এসে মোদীর আবেদন, “এই চায়ওয়ালাকে একটা সুযোগ দিন। আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিন। আমরা একটা স্থায়ী সরকার দেব।” তাঁর বক্তব্য, “খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ ঝাড়খণ্ডের উন্নয়ন স্থায়ী সরকারই করতে পারে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:১৫
Share:

চাইবাসায় ভোট প্রচারে নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে অর্জুন মুন্ডা। মঙ্গলবার পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।

এক ‘চায়ওয়ালার’ উপর ভরসা রাখার জন্য ঝাড়খণ্ডবাসীর কাছে আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ চাইবাসায় দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে এসে মোদীর আবেদন, “এই চায়ওয়ালাকে একটা সুযোগ দিন। আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিন। আমরা একটা স্থায়ী সরকার দেব।” তাঁর বক্তব্য, “খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ ঝাড়খণ্ডের উন্নয়ন স্থায়ী সরকারই করতে পারে।”

Advertisement

আগামী ২ ডিসেম্বর রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। ঝাড়খণ্ডের কোলহন অঞ্চলের চাইবাসা, জামশেদপুর, বহরাগোড়া, ঘাটশিলা-সহ রাজ্যের মোট কুড়িটি বিধানসভা আসনের ভোট গ্রহণ হবে ওই দিন।

এই অঞ্চলের আদিবাসীদের মধ্যে কংগ্রেসেরও প্রভাব রয়েছে। সেই কারণে আজ মোদীর ভাষণে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ ছিল তীব্র। মোদী এদিন কংগ্রেসের নাম করেই তাদের এক হাত নিয়েছেন। কয়েক দিন আগে পলামুর পাঁকিতে কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী আর ডালটনগঞ্জে সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী অভিযোগ করেছিলেন, গরিবের সুরক্ষার জন্য তৈরি সব আইন মোদীর সরকার বাতিল করে দেবে। মোদীকে ‘স্বপ্নো কা সওদাগর’ বলে কটাক্ষও করেছিলেন সনিয়া। তারই জের টেনে মোদী আজ বলেন, “ষাট বছর ধরে কংগ্রেস পরিবারবাদের রাজনীতি করেছে। আর দুর্নীতি করেছে। বড় কথা বলেছে, বড় বড় দুর্নীতি করেছে। আমি ছোট মানুষ। শৌচালয়, বিদ্যালয় তৈরি করতে চাই। বিদ্যুৎ আনতে চাই।” সনিয়া-রাহুলের কটাক্ষের জবাবে মোদী আজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন, “অটলবিহারী বাজপেয়ীই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি কেন্দ্রে আদিবাসীদের জন্য আলাদা মন্ত্রক তৈরি করেছিলেন। বিজেপি-ই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে, অর্থ বরাদ্দ করেছে। আদিবাসীদের জন্য চিন্তা করেছে।” সর্বোপরি তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ঝাড়খণ্ডকে আলাদা রাজ্যের মর্যাদাও দিয়েছেন অটলবিহারী বাজপেয়ীই।

Advertisement

ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিটি জনসভায় ইদানিং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তোপ দাগছেন মোদীর বিরুদ্ধে। হেমন্ত বলছেন, মোদীর সরকার রাজ্যের আদিবাসীদের জন্য তৈরি ছোটনাগপুর টেন্যান্সি অ্যাক্ট (সিএনটি) আর সাঁওতাল পরগনা টেন্যান্সি অ্যাক্ট (এসপিটি) তুলে দিয়ে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিতে চাইছে। মোদী সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, “আসলে এটা বাবা-ছেলের রাজনীতি। ওঁরা নিজেদের জমি বাঁচাতেই এ সব বলছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement