স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএসের ভূমিকার ‘ইতিহাস’ এ বার তুলে ধরবে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
স্বাধীনতা আন্দোলনে কংগ্রেসের ভূমিকা সুবিদিত। কিন্তু ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া বিজেপির পক্ষে স্বাভাবিক ভাবেই তাতে ভূমিকা থাকার কথা নয়। ১৯২৫ সালে আরএসএসের জন্ম হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের সময় তাদের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক বিস্তর। এই পরিস্থিতিতে নতুন ইতিহাস পেশ করতে চাইছে সঙ্ঘ। তাদের মতে, ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াই করে অনেক স্বয়ংসেবক মারাও গিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাসবিদরা সে সব কথা তুলে ধরেননি। মোদী সরকারের মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি আজ বলেন, ‘‘বলিদান শুধুমাত্র নেহরু কিংবা গাঁধী পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তাই কংগ্রেস যে ইতিহাস দেখিয়েছে, আর যে ইতিহাস লুকিয়েছে- সব সত্যই দুনিয়ার সামনে আনা হবে।’’
কংগ্রেস অভিযোগ করতে শুরু করেছে, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইতিহাস বদলের কাজ শুরু হয়েছে। খোদ রাজধানী দিল্লির বুকে জওহরলাল নেহরুর নামাঙ্কিত সংগ্রহশালার দখল নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘যাঁর নামে সংগ্রহশালা, তাঁকেই খাটো করে দেখানো হচ্ছে— গোটা দুনিয়ায় এমন নজির নেই। নেহরু সংগ্রহশালায় এখন এমন সব নেতাদের তুলে ধরা হচ্ছে, স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, ‘‘নেহরু সংগ্রহশালায় ৮০ শতাংশ জুড়েই ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস। সেখানেই এখন কব্জা করতে চাইছে মোদী সরকার।’’
বিজেপি অবশ্য বলছে, কোনও ‘মহাপুরুষ’কে অপমান করা তাদের লক্ষ্য নয়। কিন্তু এত দিন যাঁদের উপেক্ষা করা হয়েছে, তাঁদের অবদানও সামনে আসা উচিত। আরএসএসের এক নেতার কথায়, ‘‘কমিউনিস্ট ইতিহাসবিদরা বলেন, ভারত-ছাড়ো আন্দোলনে ব্রিটিশদের সঙ্গ দিয়েছিল আরএসএস। এটা ঠিক নয়।’’