বন্ধ ঘরে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বেনজির বৈঠকে বসলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। তাঁকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হলো, বিজেপি আর মোদী সরকারকে কি আরএসএস-ই নিয়ন্ত্রণ করে!
দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে আজ ভারতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই প্রাতরাশ আলাপচারিতার আয়োজন করেছিল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। যারা গেরুয়া শিবিরেরই নিয়ন্ত্রণে। তাদের দাবি, বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভাগবতের বৈঠক এই প্রথম। বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের মনে আরএসএস সম্পর্কে নানা ধারণা রয়েছে। সে সব বিষয়েই আজ প্রশ্ন করেন তাঁরা। বিজেপি-আরএসএসের বিভাজন ও মেরুকরণের রাজনীতি নিয়ে রাহুল গাঁধীরা বরাবর সরব। তাই আন্তর্জাতিক স্তরে আরএসএসের যে সাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে, তা পাল্টাতেই এই আলাপচারিতার আয়োজন করা হয়েছিল।
এমনই একটি প্রশ্ন ছিল, আরএসএস কি বিজেপি ও মোদী সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে? ভাগবত বলেন, ‘‘সঙ্ঘ বিজেপি চালায় না। বিজেপিও সঙ্ঘ চালায় না। স্বয়ংসেবক হিসেবে আমরা আলোচনা করলেও স্বাধীন ভাবেই কাজ করি।’’ ভাগবত জানান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গ্রামীণ ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ৭০ হাজার পরিষেবার সঙ্গে জড়িত আরএসএস। কূটনীতিকদের সেই সব প্রকল্প ঘুরে দেখার অনুরোধও করেন তিনি। লঙ্কেশ হত্যার পরে টুইটারে যাঁরা উল্লাস প্রকাশ করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্তত চার জনকে ফলো করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ প্রসঙ্গে ভাগবত বলেন, নেট দুনিয়ায় ট্রোলিং ও উগ্র আচরণকে তিনি সমর্থন করেন না। এটি অনৈতিক।
কারা এসেছিল, তা না বললেও আয়োজকরা জানান, অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল ৫০টিরও বেশি দেশ। সূ্ত্রের খবর, আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন, অর্থাৎ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-দেশ এবং ইওরোপের আরও কিছু দেশের কূটনীতিকরা ছিলেন। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের মতে, এর আগে নির্মলা সীতারামন, রবিশঙ্কর প্রসাদ, এস জয়শঙ্কর, হাসমুখ আঢিয়া, অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যমরা নিজেদের মতামত রেখেছেন। আজ ‘আরএসএস’ নিয়ে অনুষ্ঠানে সংস্থার নির্দেশক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিন্হা ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবও ছিলেন।