Mass Wedding

গণবিবাহে নজির, এক আসরে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন চার হাজার তরুণ-তরুণী!

রাজস্থানের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গণবিবাহের আয়োজন করেছিল। তাতে অংশ নেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের চার হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী। নির্দিষ্ট দিনে ধুমধাম করে বিয়ে হয় সকলের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

জয়পুর শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৩ ১৪:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

গণবিবাহের আসরে একসঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন চার হাজার তরুণ-তরুণী। ৬ ঘণ্টা ধরে চলল বিয়ের অনুষ্ঠান। হিন্দু, মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের যুগলই এই গণবিবাহের মাধ্যমে গাঁটছড়া বেঁধেছেন।

Advertisement

রাজস্থানের বারান জেলায় গত ২৬ মে গণবিবাহের আয়োজন করেছিল শ্রী মহাবীর গোশালা কল্যাণ সংস্থান নামের এক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। তারা মূলত সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের কল্যাণার্থে কাজ করে থাকে। তাদের আয়োজিত গণবিবাহে বিয়ে করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন ২১৪৩ যুগল। অর্থাৎ, মোট ৪২৮৬ জন তরুণ, তরুণী বিয়ের জন্য নাম লেখান। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের যুগল ছিলেন। নির্দিষ্ট দিনে ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বিয়ে দেওয়া হয় সকলের।

গণবিবাহের এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং রাজ্যের আর এক মন্ত্রী প্রমোদ জৈন ভায়া। নবদম্পতিদের আশীর্বাদ করেন তাঁরা।

Advertisement

বিয়ের অনুষ্ঠানের শুরুতে বর এবং কনেরা প্রথমে একে অপরের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন। তার পর বিয়ের মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। পুরোহিতদের নির্দেশ অনুযায়ী সেখানেই বিয়ের বাকি রীতি-রেওয়াজ সম্পন্ন হয়। ইসলাম ধর্মাবলম্বী যুগলদের জন্য নিকটবর্তী এলাকা থেকে কাজিদের ডাকা হয়েছিল। তাঁরা যথাযথ নিয়ম মেনে বিয়ে দেন।

গণবিবাহের আসরে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আধিকারিকেরা। তাঁরা সেখানেই নবদম্পতিদের বিয়ের শংসাপত্র দেন। রাজস্থান সরকারের তরফ থেকে দম্পতিদের দেওয়া হয় অনেক গয়না, বাসনপত্র, আসবাব এবং অন্যান্য উপহারও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন