ট্র্যাফিক সিগনালে রেড লাইট। অফিস টাইমে রাস্তায় জ্যাম। ঠায় দাঁড়িয়ে সার সার গাড়ি। গরমে দরদর করে গাল বেয়ে পড়ছে ঘামের ফোঁটা। হাঁসফাঁস করতে করতে সকলেরই নজর ঘুরেফিরে গ্রিন সিগনালের দিকে। এরই মধ্যে হঠাৎই রাস্তার মাঝখানে শুরু হয়ে গেল নাচগান। গানের তালে তালে কোমর দুলছে এক দল কমবয়সী ছেলেমেয়ের। অনেক ক্ষণ পেরিয়ে গিয়েও তা যেন থামতেই চায় না। একটা গান শেষ হলে আশপাশে আটকে থাকা যাত্রীরা সকলেই ভাবলেন, আহা শান্তি! এ বার ফের রওনা হবে বাস। ড্রাইভারের দিকে চোখ ফিরিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার আগেই বিরক্তিতে চোখ কুঁচকে গেল প্রায় সকলের। রাস্তা কাঁপিয়ে ফের শুরু হল গান। ফের ছন্দের তালে তালে কোমর দুলিয়ে পা মেলাতে শুরু করল কমবয়সীরা। হঠাৎই ভিড়ের মধ্যে থেকে মধ্যবয়সী এক মহিলা এগিয়ে এসে নৃত্যরতা এক মেয়ের গালে সপাটে চড় কষিয়ে দিলেন।
আরও পড়ুন
১৮ লক্ষ টাকা খরচ করে বিয়ে হল বলদ-গরুর!
‘কী হল? কী হল?’ রবের মাঝেই দেখা গেল ওই মেয়েকে সরে যেতে চিৎকার করছেন মহিলাটি। আর নাচ ছেড়ে যেতে চাইছে না মেয়েটি। অনেকে বলছেন, অফিসযাত্রী ওই মহিলাটি মেয়েটির মা। অনেকে বলছেন, রাস্তায় এ ভাবে নাচতে দেখেই রাগ চেপে রাখতে পারেননি। যদিও কোনও কোনও সংবাদ সংস্থার দাবি, আরে, না না, অফিসের দেরী হচ্ছে দেখেই চড় কষিয়েছেন ওই মহিলা যাত্রী। কেরলের কুন্নুড় জেলার প্রায়ানুরে এমন ঘটনাই ঘটেছে। আর এই ভিডিওটিই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মার্কিন মুলুকে এ ভাবে রাস্তা আটকে ‘ফ্ল্যাশ মবে’র দেখা মেলে হামেশাই। রাস্তা আটকে নাচ-গান হয় কোনও একটি ‘মহান’ উদ্দেশ্য সাধনে বা অর্থ সংগ্রহের জন্য। কিন্তু, এ দেশেও তো এই কনসেপ্টটাই আনকোরা। কারণ যা-ই হোক না কেন। আটমকা ঘটা সেই কাণ্ড দেখতে নীচের ভিডিওতে ক্লিক করুন।