Kashmir

কাশ্মীরে ‘ব্রহ্মার’ শরণে এ বার বাংলার আরোহীরা

আগামী জুনে কাশ্মীরের কিশ্তওয়াড় জেলায় ব্রহ্মা-১ শৃঙ্গ এবং তার পার্শ্ববর্তী ব্রহ্মা’স ওয়াইফ (৫৭২৯ মিটার) অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সোনারপুরের একটি পর্বতারোহণ ক্লাবের এক ঝাঁক আরোহী।

Advertisement

স্বাতী মল্লিক

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:১৪
Share:

কাশ্মীরের কিশ্তওয়াড় জেলায় ব্রহ্মা-১ শৃঙ্গ। ছবি: সংগৃহীত।

গত জুনেই হিমাচলের হিমালয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন রাজ্যের আরোহীরা। সদলবলে ছুঁয়ে এসেছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রের আসন (হিমাচলের ইন্দ্রাসন শৃঙ্গ)। জয় করেছিলেন পড়শি দেও টিব্বাকেও। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এ বার ‘ব্রহ্মার’ শরণ নিচ্ছেন তাঁরা। বাংলার ওই আরোহীদের নজরে এ বার কাশ্মীরের ব্রহ্মা-১ শৃঙ্গ (৬৪১৬ মিটার)।

Advertisement

আগামী জুনে কাশ্মীরের কিশ্তওয়াড় জেলায় ব্রহ্মা-১ শৃঙ্গ এবং তার পার্শ্ববর্তী ব্রহ্মা’স ওয়াইফ (৫৭২৯ মিটার) অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সোনারপুরের একটি পর্বতারোহণ ক্লাবের এক ঝাঁক আরোহী। তাঁদের মধ্যে দলনেতা, এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী রুদ্রপ্রসাদ হালদার ছাড়াও রয়েছেন সপ্তশৃঙ্গজয়ী সত্যরূপ সিদ্ধান্ত। রয়েছেন ইন্দ্রাসনে সাফল্য ছুঁয়ে আসা পার্থসারথি লায়েক, শেখ ওমর, রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী (জুনিয়র), দেবাশিস মজুমদার, নৈতিক নস্কর-সহ মোট ১৫ জন পর্বতারোহী।

কাশ্মীর ও হিমাচলের সীমান্তের এই ব্রহ্মা পর্বতমালার একাধিক শৃঙ্গের মধ্যে ব্রহ্মা-১ সর্বোচ্চ না হলেও সবচেয়ে কঠিন বটে। সত্যরূপ বলছেন, ‘‘১৯৭৩ সালে ব্রিটিশ পর্বতারোহী ক্রিস বনিংটন এই শৃঙ্গে প্রথম সফল আরোহণ করেন। এ বছরটা ব্রহ্মা-১ প্রথম আরোহণের ৫০ বছর পূর্তি। তবে তার পরে মাত্র বার ছয়েক এই শৃঙ্গে অভিযান সফল হয়েছে। কোনও ভারতীয় পর্বতারোহী এখনও পর্যন্ত এই শৃঙ্গের শীর্ষে পৌঁছতে পারেননি।’’

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে কর্মরত, দলনেতা রুদ্রপ্রসাদ জানাচ্ছেন, গত বার ইন্দ্রাসন ছুঁয়ে আসা সকলেই রয়েছেন এ বারের দলে। তাই ইন্দ্রাসনের পরে ব্রহ্মা-১ এর মতো চ্যালেঞ্জিং শৃঙ্গকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা। রয়েছে পড়শি শৃঙ্গ ‘ব্রহ্মা’স ওয়াইফ’-ও। রুদ্রপ্রসাদের কথায়, ‘‘ব্রহ্মা ১-এর ক্যাম্প টু-এর পরেই রয়েছে একটি সরু রিজ, যার উপরে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে চারটি বিশালাকৃতি পাথুরে পিলার (জেনডার্ম)। সামিটের পথে এই অংশটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। এর পরে পড়বে স্ল্যাব তুষারধস প্রবণ একটি অংশ, যেখান থেকে আগে অনেকেই ফিরে এসেছেন।’’

আগামী ৩০ জুন কলকাতা থেকে রওনা দেবেন রুদ্র-সত্যরূপেরা। তার পরে এক মাসব্যাপী অভিযান। অভিযান চলাকালীন হিমালয়ে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব ও পরিবেশবান্ধব কাজকর্ম নিয়েও প্রচার চালাবেন তাঁরা। কিশ্তওয়াড় জেলার কিব্বার নালা গ্রামে স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে ওঁদের। সেই সঙ্গে থাকবে সেখানের স্কুলপড়ুয়াদের জন্য বই-খাতা-পেন উপহারের ডালি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন