—প্রতীকী চিত্র।
ভূত আছে কি নেই সেই বিতর্ক বহুদিনের। তবে দেশের অন্যপ্রান্তে থাকুক বা না থাকুক, মধ্যপ্রদেশ সরকারের দাবি, এখানে কিন্তু ‘সত্যি’ ভূত রয়েছে। শুধু ভূতই নেই, সরকারি মতে, এক এক করে ধরে এখনও পর্যন্ত ৩০৭ জন কৃষককে মেরে ফেলেছে ভূত! বুধবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে স্বয়ং মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ কৃষকদের আত্মঘাতী হওয়ার পিছনে এই ‘অভিনব’ তথ্য খাঁড়া করেছেন। এবং তাঁর এই মন্তব্যের কারণ দেখিয়ে সরকারি শিলমোহর লাগানো নথি-প্রমানও পেশ করেছেন।
উচ্চপদস্থ এক মন্ত্রীর মুখ থেকে এমন ‘ভূতুড়ে’ কথা শুনে তখন হেসেই খুন হওয়ার জোগাড় উপস্থিত অন্যদের। পরে অবশ্য হাসি সামলে এর তীব্র বিরোধিতা করে কংগ্রেস। উপস্থিত এক নেতার কথায়, মুখ্যমন্ত্রী যা চেয়েছিলেন তাই হয়েছে। সরকারি দফতর সত্যিই একটা মজার দফতরে পরিণত হয়েছে। প্রসঙ্গত বলে রাখা দরকার, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান কয়েকদিন আগে তাঁর মন্ত্রিসভাকে আনন্দের মন্ত্রালয়ে পরিণত করার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য সে দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে ওই নেতার মত।
আরও পড়ুন: বিহারে মাওবাদী হানায় ছিল রকেট লঞ্চারও
ফসলের বিপুল ক্ষতির জন্য ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৪১৮ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন মধ্যপ্রদেশে। কৃষকদের আত্মহত্যার জন্য শাসকদলকে দায়ী করে বহুদিন ধরেই সরব রাজ্যের বিরোধী দল। এ দিনও বিধানসভায় রাজ্যের শাসকদলের ব্যর্থতার দিকেই আঙুল তোলেন কংগ্রেস বিধায়ক শৈলেন্দ্র পটেল। আর তখনই নিজেদের কাঁধ থেকে সমস্ত দায় ঝেড়ে ফেলতে সবটাই ভূতেদের উপর চাপিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এক নথি পেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ জানান, আত্মঘাতী হওয়া ৪১৮ কৃষকদের মধ্যে ৩০৭ জন ফসলের ক্ষতির জন্য নয়, বরং ভূতের উপদ্রবেই মারা গিয়েছেন। কৃষকদের পরিবারের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই নাকি এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তবে বাকি ১১৭ জন কৃষকের আত্মহত্যার ‘আসল’ কারণ এখনও জানাতে পারেননি তিনি।