বেতন বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে সরকার বা বিরোধী সব দলই একসুর। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ কিছু দিন আগেই সাংসদদের বেতনবৃদ্ধির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কানে তোলেন। কিন্তু সদর্থক সাড়া মেলেনি। সীতারাম ইয়েচুরিও এক সমাবেশে নরেন্দ্র মোদী, অরুণ জেটলির সামনে প্রসঙ্গটি তোলেন। প্রধানমন্ত্রী তখনও কোনও জবাব দেননি। সামনাসামনি এ নিয়ে বেশি হইচই করতে পারছেন না বিজেপি সাংসদরা। কিন্তু বেতন বাড়ানোর দাবি তাঁদেরও।
এক বিজেপি সাংসদের কথায়, ‘‘আমরা সকলেই চাই বেতন বাড়ুক। ২০১০ সালের পর থেকে মাইনে বাড়েনি। ৫০ হাজার টাকা মূল বেতন আর ভাতা মিলিয়ে অঙ্কটি দেখতে বেশি লাগে, কিন্তু খরচ তার থেকে বেশি। দিল্লি আর নির্বাচনী কেন্দ্রে কর্মীদের মাইনে দিয়ে, এলাকার লোকজনদের হাজারো সমস্যা মেটানো, হাসপাতালে পাঠানো, ট্রেনের টিকিট কেটে দেওয়া, রোজকার অতিথিদের চা-বিস্কুট খাওয়ানো এই মাইনেতে কুলোয় না। প্রধানমন্ত্রী যদি চান দুর্নীতি দূর হোক, তা হলে সাংসদদের বেতন বাড়ানোই পথ। ঠিক যে যুক্তিতে কেজরীবাল বিধায়কদের মাইনে ৪০০% বাড়িয়েছিলেন।’’
বিজেপি সাংসদরা যেটি রেখেঢেকে বলছেন, সেটাই প্রকাশ্যে বলছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ নরেশ অগ্রবাল। তিনি বলেন, ‘‘এখন একজন পিওনের মাইনেও সাংসদদের থেকে বেশি! সপ্তম বেতন কমিশনের পর একজন যুগ্ম সচিবের মাইনে রাষ্ট্রপতির থেকে বেশি হবে। সাংসদদের মাইনে বাড়বে কবে?